পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रे भी । సా wmms বৃদ্ধ বলিলেন, “রাজকুমারের নাম শ্রুত আছি। বসুন, বীর ;- কি আজ্ঞা অনুমতি করুন !” যুবক বসিলেন ; বলিলেন, “বাদাসাহের পত্ৰ আছে।” কম্পিত হস্তে বৃদ্ধ পত্ৰ লইলেন। সৰ্ব্বদাই তাহার লুলিয়ার জন্য ভয় ;-প্ৰাণ থাকিতে তিনি লুলিয়াকে বাদশাহের “বেগম-মহলে” পাঠাইতে পরিবেন না ! কে জানে, এই পত্রে সেই হুকুমই আসিয়াছে কি না । বৃদ্ধ কষ্টে পত্ৰখানি খুলিয়া পাঠ করিলেন। পত্র এই , “প্রিয়বার মাননীয় সলাবত খ্যা ওমরাহ সাহেব,- রাজকাৰ্য্যের জন্য আমাদের বন্ধুপ্রবর কুমার অজিত সিংহকে কয়েক দিবস। ফতেপুর সিকরিতে থাকিতে হইবে। আশা করা যায়, আপনি তঁহাকে বিশেষ যত্নে রাখিবেন । ইতি-- অধীন সেলিম-জাহাঙ্গির সা ।” বৃদ্ধের অতি উৎকণ্ঠ দূর হওয়ায়, তিনি দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিলেন । তবে লুলিয়া নহে,-অন্য রাজকাৰ্য্য ! এই পরিত্যক্ত জনশূন্য ভগ্নস্তুপ সহরে কি রাজকাৰ্য্যের সম্ভব ? এখানে লোকের মধ্যে তিনি ও লুলিয়া,-মহম্মদজান ও হামিদ ;-আর দূরে মসজিদে বৃদ্ধ মোল্লা আছেন। এতদ্ব্যতীত পােচ সাত ক্রোশের মধ্যে জনমানব নাই ;- তবে এখানে রাজকাৰ্য্য কি ? এমন কি রাজকাৰ্য্য, যাহার জন্য এত বড় পদস্থ মনসবদার পাঠাইতে হইয়াছে ! বৃদ্ধ সলাবত খ্যা মনে মনে এইরূপ নানা আলোচনা করিলেন,- কিন্তু ভাবিলেন, “আমি সংসার পরিত্যাগ করিয়া, আমার ক্ষুদ্র লুলিয়াকে লইয়া এই নির্জনে বাস করিতেছি ;-আমার রাজকাৰ্য্যের সহিত नश्च दि 9°