পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

... -- – – সপ্তম পরিচ্ছে – – – তাহার পার্থে থাকিলে,-ৰ্তাহার সহিত কথা কহিলে, তাহার হৃদয়ে এক অপূৰ্ব আনন্দ উপলব্ধি হয়,-সেই আনন্দে সে মগ্না,--তাহার। আর কিছু দেখিবার ইচ্ছা বা ক্ষমতা আদৌ ছিল না ! আজ জ্যোৎস্নায় চারিদিক ভাসিতেছে,-হামিদ প্ৰভৃতি সকলে, “ঘুমাইয়াছে,-পা টিপিয়া টিপিয়া লুলিয়া শয্যা হইতে উঠিয়া পালাইয়াছে,-নিঃশব্দে ; প্রাসাদের প্রান্তভাগে কুয়ার নিকট আসিয়াছে,-যুবক বিমল সিংহ বহু পূর্বেই আসিয়া কুয়ার তীরে বসিয়াছিলেন । , লুলিয়া হাসিয়া বলিল, “আপনার সঙ্গে আমার এমন করে দেখা করা ভাল নয় ।” နှိုး বিমল সিংহ লুলিয়ার হাত ধরিয়া তাহাকে পার্থে বসাইলেন,- আদরে বলিলেন, “যে অধিকার জন্মিলে আর কাহারওঁ কিছু বলিবার থাকে না,-সেই অধিকার দিলেই সব গোল মিটিয়া “. যায়।” লুলিয়া বিমল সিংহের কথার অর্থ উপলব্ধি করিতে পারিল না, র্তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল ! এ পৰ্যন্ত বিমল সিংহ পূর্বে আর --কখনও তাহার হাত -ধরেন নাই,-আজি তিনি লুলিয়াকে হৃদয়ে লইলেন,-দক্ষিণ হস্তে তাহার চিবুক ধারণ করিয়া তাহার গোলাপ বিনিন্দিত ওষ্ঠে পুনঃ পুনঃ চুম্বন করিলেন,-লুলিয়া আবেগে চক্ষু মুদিল । তাহার শিরায় শিরায় বিদ্যুৎ ছুটিতেছিল- তাহান্ন সৰ্ব্বাঙ্গ রোমাঞ্চিত হইয়া গিয়াছে।--তাহার সর্বাঙ্গ থর থর করিয়া কঁাপিতেছে,- তাহার কপার্গে বিন্দু বিন্দু ঘাম দেখা দিয়াছে-সে। আর কখনও এ ভাৰ উপলব্ধি করে নাই,-তাহার সঙ্গরও প্রায় বিলুপ্ত হইয়া