পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ҸOо е বেগম-মহল । সতীর সতীত্বনাশ,-ভীষণ ষড়যন্ত্র প্রভৃতি বিভীষিকায় পূর্ণ ছিল। দিল্লির প্রাসাদ প্রাচীরে মোগল সম্রাট লিখিয়া গিয়াছেন, “যদি কোথায়ও স্বৰ্গ থাকে,-তবে সে এই স্বৰ্গ ;-এই স্বৰ্গ,- qछे बाँ!" মোগল দরবার প্রকৃতই স্বর্গের সমস্ত শোভায় পূর্ণ ছিল ;-তবে তথায় কতদূর স্বর্গের সুখ ছিল, তাহা বলা যায় না। যেখানে প্ৰতি মূহুর্তেই গুপ্তহত্যার সম্ভাবনা-যেখানে সকলে দিনরাত্রি নিজ নিজ প্ৰাণ লইয়া শশব্যস্ত,-তথায় সুখের সম্ভাবনা কোথায় ? জাহাঙ্গির আমোদ-সাগরে অঙ্গ ভাসাইয়া,-তিনি ভারতসাম্রাজ্য মুরজিহানের পদে উপঢৌকন দিয়া,—রাজকাৰ্য্যের কিছুই দেখিতেন না। ইহাতে র্তাহার মোগল দরবারের অনেক মনসবদার বিশেষ সন্তুষ্ট ছিলেন না। ;-তবে প্ৰকাশ্যভাবে কেহ অসন্তোষ প্ৰকাশ করিতে সাহস করিতেন না! কিন্তু আমরা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি, সহসী। দুইজন অতি প্ৰবল পরাক্রান্ত মনসবদার প্রকাশ্যভাবে বিদ্রোহপতাকা উডতীয়মান করিলেন । তঁহারা সম্রাটের জীবিতকালেই তঁহাকে সিংহাসনচ্যুত করিয়া, তঁহার মধ্যম, পুত্ৰ,-রাজপুত বেগমের পুত্র,-সাহােজাদা খুৱামকে সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করিতে দৃঢ়প্ৰতিজ্ঞ হইলেন। ভীম সিংহকে দরবার হইতে দূর “করিবার জন্য সম্প্রতি নুরজিহান তঁহাকে গুজরাটের সুবাদার নিযুক্ত করিয়া, অনতিবিলম্বে তথায় উপস্থিত হইতে অনুজ্ঞা করিলেন ; কিন্তু সাহােজাদা খুরমের প্রাণের বন্ধু মেবারের রাজভ্রাতা ভীম সিংহ গুজরাট যাত্রা করিলেন না। তিনি সসৈন্যে আগ্ৰা পরিত্যাগ করিয়া, প্ৰকাশ্যভাবে বিদ্রোহানল জালিলেন। জাহাঙ্গিরের প্রধান সেনাপতি তাহার অসংখ্য দুৰ্দ্ধমনীয় রাজপুত যোদ্ধা লইয়া, ভীম সিংহের সহিত যোগদান করিলেন ; মুরজিহান সাহাজাদা খুৱামকে একরূপ