পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/৩৪৮

VeRV বেগম-মহল “তার পর ?” “তিনি সাহাজোদার দেহ কবরের জন্য আগ্ৰায় পাঠাইয়াছেন।” “দুই সাচাজাদাকে একস্থানে কবর দিবার হুকুম পাঠাও ;— “যাও ।” আজফ খাঁ আরও কি বলিতে যাইতেছিলেন,-কিন্তু আর কোন কথা বলিতে সাতস করিলেন না । তিনি জীবনে জাহাঙ্গিরের এ ভয়াবহ মূৰ্ত্তি কখনও দেখেন নাই ;-তিনি তৎক্ষণাৎ তথা হইতে *ांव्ठेठन् । জাতাঙ্গির গভীর দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ করিলেন, স্বয়ং সুরাপাত্রে সুরা ঢালিয়া এক নিশ্বাসে বহু পরিমাণে গলাধঃকরণ করিলেন । তাঙ্গাল “পর বলিলেন, “দোষ আমার,-দোষ আর কাহারই নয় -m-তীব্দে এক দিনে – দুই পুল্ল শোক-অনেকের চয় না।” কে পশ্চাতে মৃদু মধুর স্বরে বলিল, “এ কথা আমি বিশ্বাস করি না ।” বাদসাত চমকিত হইয়া পশ্চাতে ফিরিলেন,-দেখিলেন, শতরূপে চারিদিক আলো করিয়া দণ্ডায়মানা-নুরজিচোন। মুখে মৃদু মৃত্যু হাসি,-অতুলনীয় বক্ষে অতুলনীয় ভাব,-শত শোভায়, মুরজিজ্ঞান বিভূষিতা ;—ষ্ঠাতার উপস্থিতে যেন চারিদিকে বিমল জ্যোৎস্না ছড়াইয়া পড়িয়াছে! এ ভাব, এরূপ,-এ বৃদ্ধি,-না থাকিলে কেহ কি ভারতের অদ্বিতীয়া অধিষ্ঠাত্রী অধিশ্বরী চাইতে পারে ? জাহাঙ্গির কিয়ৎক্ষণ এই অপরূপ, সৌন্দৰ্য্যের দিকে চাহিয়া রহিলেন ;-মুহুর্তের জন্য তঁহার হৃদয়ে যে সন্দেহ, যে ক্ৰোধ উদিত হইয়াছিল,—তাত নিমিষে নিমিলিত হইয়া গেল ;-তিনি অতি বিষন্নতাপূর্ণ স্বরে বলিলেন, “শুনিয়াছ ?” । পটমণ্ডবের পশ্চাতস্থ দ্বারা দিয়া নিঃশব্দে নুরজিহান প্ৰবেশ