পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ। স্বয়ং জাহাঙ্গির । কয়ৎক্ষণ নীরব থাকিয়া, জাহাঙ্গির দৃঢ়স্বরে বলিলেন, “নুরজিহান, তোমাকে প্ৰাণ দিয়া ভালবাসি ;-আজি ভালবাসি তাহা নহে! খন আমি বাদস হই নাই,- তখন হইতে তোমায় ভালবাসি। তুমি জান, আমি হাঙ্গামার লোক নাহি।-আমি খাটি লোক,- মাতাল লোক ! যখন দেখিলাম, তুমি অদ্বিতীয়া বুদ্ধিমতী, – তুমি দিল্লির অধিশ্বরী হইবারই একমাত্র উপযুক্ত পাত্রী,-তখন আমি সাম্রাজ্যের সমস্ত ভার তোমার উপর দিয়া, গোলযোগের বাহিরে শান্তিতে ছিলাম ;-নিজের আনন্দে নিমগ্ন হইয়াছিলাম -কেমন,- নয় কি ?” জাহাঙ্গিরকে এরূপভাবে কথা কহিতে নুরজিহান আর কখনও দেখেন নাই। বাদসাবেগম বিস্মিত ও উদগ্রীব ভাবে বিস্ফারিত নয়নে তঁাহার মুখের দিকে একদৃষ্টি চাহিয়া রহিলেন ; -- তিনি কোন কথা কছিলেন না ! বাদীস বলিলেন, “আমার বিশ্বাস ভুল বিশ্বাসে পরিণত হয় নাই। তুমি এতদিন আমার অপেক্ষাও উৎকৃষ্টরূপে এ সাম্রাজ্য চালাইয়া আসিয়াছ,-আমার, কোন কথাই বলিবার প্রয়োজন হয় নাই ! এতদিন সাম্রাজ্যে কোন গোল ঘটে নাই,-আজি ঘটিয়াছে ;-কেন জান মুরজিহান ?” প্রায় অৰ্দ্ধস্ফুট স্বরে নুরজিহান বলিলেন, “কেন, জাহাপনা ?” জাহাঙ্গির গভীর স্বরে বলিলেন, “এতদিন তোমার নিজের কোন স্বাৰ্থ ছিল না,-আমার যে স্বর্থ-তোমারও সেই স্বাৰ্থ ছিলঃ তাহাই সাম্রাজ্য সুশৃঙ্খলার সহিত চলিয়াছে;-কোন গোল স্ট্রট