পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাপার কি ? (9Jሪዓት হইতে পারে । তাহার চির বিশ্বস্ত ভৃত্য,-মহাবলবান মহাসাহসী আলম সা ভূত বা প্ৰকৃত ভয়াবহ বিভীষিকা না দেখিলে, কখনই তাহার এ অবস্থা হইত না ! পড়ে। সহরে ভূতের অত্যাচার অসম্ভব কিছুই ন'হে। তবে এই ভূত কি জন্য কেবল তাহার ও তঁহার লোক, জনের সম্মুখে আবির্ভূত হইতেছে ? বৃদ্ধ মৌলভী ও সলাবত খাঁ। বহু বৎসর এই পরিত্যক্ত সহরে বাস করিতেছেন,- তাহারা এই ভূত দেখিলে,- এইরূপ বিভীষিকা দেখিতে পাইলে, কোন মতেই কখনও এখানে তিষ্ঠিতে পারিতেন না ; তবে এ সকলের উদ্দেশ্য কি ? তবে কি মোগল রাজত্বে শীঘ্রই কোন ঘোর দুর্ঘটনা ঘটিবে । বহুক্ষণ জাহাঙ্গির নীরবে বসিয়া মনে মনে এই সকল আলোচনা, করিতে লাগিলেন ; সহসা তিনি সভয়ে প্ৰায় লম্বন্ধ দিয়া দণ্ডায়মান তাইলেন ! অতি সাহসী বীরের হৃদয় ও ভূতের নামে প্ৰকম্পিত হইয়া উঠে ! কিন্তু ভূত নহে,- তাহার সম্মুখে বাদসাবেগম নুরজিহান ! তিনিও রাত্ৰে নিদ্রিত হইতে পারেন নাই ;- নিজ শিবিরে ছটফট করিতেছিলেন। বাদসহ শিবিরে প্রত্যাগত হইয়াছেন। IF usuai আসিয়াছিলেন ;-জীবনে তিনি আর কখনও এত বিচলিত स्न नाच्ने ! তিনি সসম্মানে বলিলেন, “জাহাপনা, আমি কিছুতেই স্থির ঠাইতে পারিতেছি না,-- তাহাঁই বিনা অনুমতিতে হজরতের নিকট আসিয়াছি ; দাসীর অপরাধ মাৰ্জন করুন।” জাহাঙ্গির কেবল মাত্র বলিলেন, “বসো ! বাদাসাহের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘৰ্ম্ম দেখা দিতে ছিল,-মুরজিহান যত্নে তাহার মুখ। নিজ সৌগন্ধময় রুমালে মুছাইয়া দিয়া বলিলেন, “হজরত কি নিজে, কিছু দেখিতে পাইয়াছেন ?”