পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/৩৮৩

उछाaादअ| \Ulry আর সে শাস্তি নাই,--আর সে নিরবচ্ছিন্ন সুখ নাই ;-আর সে নিৰ্জনতা-নিস্তব্ধতা—জনশূন্যতা নাই ! অজিত সিংহ চলিয়া গেলেন, মহম্মদ তোকী আসিলেন, অসংখ্য মোগল সেনা আসিল, তাহারা চলিয়া যাইতে না যাইতে স্বয়ং বাদসহ আসিয়া উপস্থিত হইলেন, এ সকল কি ঘটতেছে, ইহার কোথায় গিয়া উপসংহার হইবে, তাহা সে কিছুই জানে না ! কিন্তু এতদিন পরে আবার তাহদের জনশূন্য সহরে নিস্তব্ধতা अनिश्नाCछ, আসিয়াছে! আজি ফতেপুর সিকুরি পূর্ব প্রাপ্ত হইয়াছে,-আজি তাহাই তাহার প্রাণে এক অপরূপ ভাবের উদ্রয় হইতেছে । আজ সে আবার বহুকাল পরে তাহার প্ৰিয় কুয়ারি পাড়ে বসিয়া সূৰ্য্যাস্তের অপূৰ্ব্ব শোভা দেখিয়া হৃদয়ে অসীম আনন্দ উপলব্ধি করিতেছে,-আবার সে আজ অনেক দিন পরে - সুখী হইয়াছে। সহসা পশ্চাতে পদশব্দ হইল,-সে। চমকিত হইয়া ফিরিল। -- অমনই তাহার সুন্দর আনন। আনন্দে বিভাসিত হইয়া উঠিল,- বিমল সিংহ আসিয়াছেন ! কিন্তু তঁহার মুখ দেখিবামাত্র তাহার মুখের প্রথুষ্ট্ৰত যেন বাতাসে মিলিয়া গেল। -- বিমল সিংহের মুখ গম্ভীর, -- কোন ঘোর দুঃখে তাহার সুন্দর আনন যেন ঘোর কৃষ্ণ মেঘে আবরিত হইয়াছে! — লুলিয়া তাহার চির প্রফুল্লিত মুখে আর কখনও এ ভাব দেখে নাই! তঁহার হৃদয় আপনা। আপনিই যেন ঈদয় মধ্যে বসিয়া গেল! সে রুদ্ধ কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল, “কি হইয়াছে ?” বিমল সিংহ আদরে লুলিয়ার হাত ধরিয়া পাৰ্থে বসাইলেন,- একরূপ বল সহকারে হৃদয়ে প্ৰফুল্লতা আনিবার চেষ্টা করিলেন,- তৎপরে ধীরে ধীরে বলিলেব, “লুলিয়া, বােধ হয় আমাকে তােমাদের ত্যাগ করিয়া যাইতে হইল!”