পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/৪২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উভয়ে একত্ৰে আহার আরম্ভ করিলেন।—লুলিয়া দুই চারিবার বলিল, “নাথ, আপনি আহার করুন, — দাসী পরে আহাব করিবে !” খুৱন রুটী রাখিয়া বলিলেন, “তবে এই পৰ্যন্ত থাকিল!” অগত্যা লুলিয়া বলিল, “তবে দিন।” খুরম তাহার মুখে রুটী তুলিয়া দিলেন। লুলিয়া চক্ষু মুদিত করিয়া তাহা ििब्जव्ल । উভয়ে বেহারীচরণের জগতখ্যাত ছদ্মবেশ বিদ্যার সাহায্যে ফতেপুর হইতে মেবারের প্রান্তে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছেন। কিন্তু এখনও আশঙ্কা যায় নাই ! সৰ্ব্বদাই ভয় আছে।--তঁাহাদের সর্বদাই মনে হইতেছে যে বাদাসাহের না হউক নুরজিহানের চর। তাহদের অনুসরণ করিতেছে! যতদিন না তঁহারা মেবারে উপস্থিত হইতেছেন, ততদিন কোন মতেই নিরাপদ নহেন ! কথা আছে, সর্বসুন্দরী জুলেখা পূর্বে কোনরূগে! মেবারের মহারাণা কৰ্ণ, সিংহকে সম্বাদ । দিয়া তবে তঁাহারা গির্ণরে প্রস্থান করিবেন,- সুতরাং ভরসা। আছে মহারাণ। এ সম্বাদ পাইয়া কখনই নিশ্চিন্ত থাকিবেন। না,-স্বয়ং না। আসিলেও লোকজন রাজ্যের সীমা প্ৰান্তে তঁহাদের অভ্যর্থনার জন্য প্রেরণ করিবেন। একবার মেবার রাজ্যে পদার্পণ করিলে তিনি রাজ্যের অতিথী,-তখন তাহার বিশ্বাস আছে যে অন্ততঃ তাহার প্রাণের আশঙ্কা আর কিছু মাত্ৰ থাকিবে না। ;- রাজপুতগণ র্তাহীদের প্রাণ রক্ষার জন্য প্ৰাণ দিবে। সুতরাং আর একটু যাইতে পারিলেই হয়। এখানে বিশ্রাম করিয়া আহারাদি করিবার তঁাহার আদৌ ইচ্ছা ছিল না,--কেবল লুলিয়া ক্লান্ত হইয়াছে বলিয়াই তিনি এই বৃক্ষতলে আশ্ৰয় লইয়াছিলেন ।--বিশেষতঃ বেহারীচরণ কিছুতেই তঁহাদিগকে এখানে আহারাদি না করাইয়া অগ্ৰবৰ্ত্তী হইতে স্বীকৃত নহে,-বেহারীচরণ এক্ষণে র্তাহার প্রধান মন্ত্রী !