পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/৪৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বড় আপত্তি করিত না ; –কিন্তু হাতের কাছে একজন যুবপুরুষ রাখিবার জন্য দুৰ্ব্বত্ত মসরু গহরজান নাম দিয়া এই যুবককে স্ত্রী সাজে বেগম-মহলে রাখিয়াছিল ;- সে যে,-আমার উপর নজর রাখিয়াছে, – তাহা আমি জানিতাম না। ;-জানিলে পূর্ব হইতে তাহার ব্যবস্থা করিতে পারিতাম । সহসা আমি জানিলাম যে, নুরজিহান আমার উপর সন্দেহ করিয়াছে,-কেবল তােহাঁই নহে ;-আরও বুঝিলাম যে, স্বয়ং বাদসহ আর নিৰ্বোধি নাই,-তিনিও সন্দিহান হইয়াছেন ;--তিনি কৌশলে আমায় শিশ মহলের এক গুপ্তস্থানে লইয়া গিয়া, ছদ্মবেশে আমার সহিত সাক্ষাৎ করেন;—তাহার পর যাহা যাহা ঘটিয়াছিল,- তাহা বেহারীচরণের মুখে শুনিতে পাইবেন । যখন, আমি মাম মসজিদ হইতে বাহির হইয়া আসি,—তখন স্পষ্ট আমি বাদ্যসাহিকে দেখিতে পাইলাম ! সেই দিনই আমি বুঝিলাম যে, আমার বেগম-মহলে বাসের দিন শেষ হইয়া গিয়াছে!! নুরজিহান আমার প্রাণ লইতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করিবে না ! এরূপ স্থানে কেহই কখনও অপ্ৰস্তুত অবস্থায় থাকিতে পারে না,-আমি বহু আয়াসে এক সন্ন্যাসীর নিকট হইতে এক অভূতপূর্ব বিষ সংগ্ৰহ করিয়া; সৰ্ব্বদা সঙ্গে সঙ্গে রাখিতাম। এই বিষ পান করিলে, তখনই দেহের যে অবস্থা হয়,-তাহাতে কাহারই সাধ্য ছিল না যে বলে বিষপায়ীর মৃত্যু হয় নাই ! আমি সেই দিনই গঙ্গীয়াকে দিয়া বেহারীচরণের নিকট সংবাদ পাঠাইলাম,--বেহারীচরণ দুর্গের নিকট পাহারায় রহিল। আমি জানিতাম, সহস্র রাগ হইলেও মুরজিহান আমায় ভূলবাসিত,-আমি মৃত্যু সময়ে যদি অনুরোধ করিয়া যাই যে, আমার হিন্দু সৎকার করি বেন-তাহা হইলে সে ইহা নিশ্চয় করিবে ;-