পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/৪৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰান্তভাগে বহু মূল্যবান মসনদ,-সেই মসনদে কোটী কোট টাকা মূল্যের জহরতে মণ্ডিত রাজ পরিচ্ছদে সম্রাট উপবিষ্ট ! পাশ্বে একটু নিম্নে উজীরগণ জানু পাতিয়া উপবিষ্ট,-দূরে দূরে ওমরাও ও মনসবদারগণ আসীন,-চোপদার স্বর্ণদণ্ড হস্তে চারিদিকে দণ্ডায়মান,-দুইজনে স্বর্ণ চামরে বাদ্যসাহিকে বাজন করিতেছে, -- একজন স্বর্ণমণ্ডিত জহরত ঝালর সুশোভিত লোহিত ছাত্র বাদাসাহের মস্তকে ধারণ করিয়া দণ্ডায়মান ;-নানা রঙ্গের নানা পোষাকে সজিত হইয়া, মোগল ও রাজপুত যোদ্ধাগণ স্থানে স্থানে যে যাহার সম্মানানুসারে উপবিষ্ট ! সে জাকজমক,-সে আসবাবের বিষয় বৰ্ণনা হয় না ! সহসা বাদাসা। চমকিত হইয়া পশ্চাতে ফিরিলেন। তাহার পর, বিস্মিত হইয়া, প্রধান উজীরকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কে কথা कश्लि ?” বৃদ্ধ উজীর মস্তক অবনত করিয়া বিনীতস্বরে বলিলেন, “জাহাপনা,-কেহ কথা কহে নাই ।” বাদসাহ আবার চমকিত হইয়া ফিরিলেন । এবার তিনি স্পষ্ট শুনিলেন,-কে তাহার কাণের কাছে ? আসিয়া বলিতেছে, “আমি এসেছি। ” পশ্চাতে ও নিকটে কেহ নাই । তিনি বিস্মিতভাবে বলিলেন, “না,-আমি স্পষ্ট কাহার কণ্ঠের কাতর স্বর স্বকৰ্ণে শুনিতে পাইয়াছি। ” * স্বর বলিল, “হজরত,-অধীনকে চেনেন ;– আমি বেহারীচরণ ! - হজরত, অধীনের বিদ্যে একটু ফতেপুরে দেখেছিলেন ।” জাহাঙ্গিরের সকল কথা স্মরণ হইল,-জুলেখার পত্র তিনি ভুলেন নাই। তিনি মৃদু হাসিয়া বলিলেন, “দরবার দ্বারে বেহারীচরণ