পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/৫০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোনরূপে কেহ সন্দেহ করে,—এই ভয়ে কোন গতিকে লাস দূর দিল্লিতে পাঠাইয়া দেয় ;-তাহা বুঝিতেও আমার বিলম্ব হইল না ! তখন ইহারা কিরূপে লাস চালান দেয়,—তাহারই অনুসন্ধান আরম্ভ করিলাম।” শীঘ্রই সে সন্ধান ও আমি পাইলাম। যুবক সঙ্গা গহরজান। বেগম-মহলে প্ৰবেশ করিলে,-আমি সমস্ত রাত্ৰি পাহারায় রহিলাম ! দেখিলাম, প্ৰাতে ঘেরাটোপ ঢাকা সেই পান্ধী বেগম-মঙ্গল হইতে বাহির হইয়া আসিল ! আমি পান্ধীর অনুসরণ করিলাম ! ভাবিয়ছিলাম, পান্ধী বুড়ীর বাড়ী যাইবে ;-কিন্তু দেখিলাম, পান্ধী সেদিকে না গিয়া,—যমুনার ধারে ধারে পশ্চিমদিকে চলিল। আমি \ দুলালীকে শাস্ত্ৰ গঙ্গীয়ার দোকান হইতে ঘোড়া ঠিক করিয়া আনিতে বলিয়া, অলক্ষিতভাবে পান্ধীর সঙ্গে সঙ্গে চলিলাম ।” “পান্ধী নদীর তীরে এক নির্জন স্থানে আসিল ;-) তথায় এক লম্বা ছিপ নৌকায় প্রায় একশ জন লোক বটে ধরিয়া প্ৰস্তুত চইয়া বসিয়াছিল ;--বেহােরারা পান্ধী সহ নৌকায় উঠিল,-আমনই তাহারা নৌকা ছাড়িয়া দিল ! এই সময়ে দুলালী আমার ঘোড়া আনিল, আমি ঘোড়ায় চড়িয়া তীরে তীরে নৌকার সঙ্গে সঙ্গে ছুটিলাম!” “রাত্ৰি প্ৰায় দুই প্রহর অতীত হইয়া গেলে,-নৌকা দিল্লির নিকট এক নির্জন স্থানে লাগিল! বেহােরাগণ পান্ধী লইয়া সহরের দিকে চলিল ;-আমি ঘোড়া এক গাছে বাধিয়া, তাহাদের পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলাম ! পথে জনমানব নাই,-সহরের দ্বরাজ বন্ধ হইয়া গিয়াছে ;-আমি দূর হইতে দেখিলাম, বেহারিাগণ দ্বারের নিকট পান্ধী নামাইয়া, ভিতর হইতে একটি উলঙ্গ মৃতদেহ ধরাধরি করিয়া বাহির করিল , —তাহার পর সেটাকে পাঁচীল ঠেসান দিয়া রাখিয়া, পান্ধী লইয়৷ পলাইল ।”