পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরামর্শ । や> বলিলেন, “বড় দুর্বলতা বোধ করিতেছি ;-আমি এইখানে একটু বিশ্রাম করি,--আপনি যান ।” অজিত সিংহ কোন কথা বুলিলেন না। ;-তিনি ধীরপদে আবার মরিয়ম বিবির প্রাসাদে প্রবেশ করিলেন ; তখন সুৰ্য্যোদয় হইতেছে! চারিদিকে রাত্রের আর ঘোর অন্ধকার নাই ! এখন ভয় পাইবার কিছুই কারণ ছিল না ! “এখন যে ভীত হইবে সে নিতান্ত কাপুরুষ !” মনে মনে এ কথা অজিত সিংহ বারবার বলিলেন,- ইহাতেই স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায় যে তিনিও বিশেষ বিচলিত হইয়াছেন,- কেবল নিজ দুৰ্দমনীয় হৃদয় বলে তাঙ্গা উপসমিত করিয়া রাখিতেছেন। তিনি সৈনিকদিগকে বলিলেন, “তোমরা সকলে যত শাস্ত্ৰ পারি। প্ৰস্তুত হও :- আমরা অন্য কোন বাড়ীতে বাসা লইব ।” সৈনিকগণ গত রাত্রের বিভীষিকার বিষয় কিছুই জানিত না,-তাহারা বিস্মিত চইল,-কিন্তু এ পৰ্য্যস্ত মুখ তুলিয়া সেনাপতিকে কিছু জিজ্ঞাসা করিতে তাহারা কখনও সাহস করে নাই ;-তাহারা কোন কথা না কহিয়া, এখান হইতে বিদায় হইবার জন্য চলিল । অজিত সিংহ আবার প্রাসাদের চারিদিক প্ৰদক্ষিণ করিলেন ।-- প্ৰতি স্থান বিশেষ লক্ষ্য করিয়া দেখিতে লাগিলেন,-কিন্তু বাড়ীতে গতরাত্রে তঁাহারা ভিন্ন আর কেহ যে আসিয়াছিল, তাহার কোন চিকু দেখিতে পাইলেন না । অজিত সিংহ ভৃত্যকে উপর ও নীচের ঘরের সমস্ত জানালা দরজা খুলিয়া দিতে বলিলেন ।- সে তৎক্ষণাৎ ছুটিয়া গিয়া দরজা জানালা খুলিয়া ফেলিল। দূরে উদ্যান মধ্যে দাড়াইয়া অজিত সিংহ সমস্ত অট্টালিকাটা পৰ্য্যবেক্ষণ করিতে লাগিলেন। সুন্দর অট্টালিকা,-সুন্দর দৃশ্য,-যেন এক খানি ছবি। উপরে এক বৃহৎ গম্বুজ,-তাহার সুউচ্চ চুড়ে প্ৰাতঃ