পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VIR বেগম-মহল । সুৰ্য্যের রৌদ্র পতিত হওয়ায়, চুড়াগুলি ঝক ঝকা করিয়া জ্বলিতেছে! অজিত সিংহ চিন্তিত ভাবে বলিতে লাগিলেন, “এ বাড়ীতে যে বাদসাহী ভাবে সাজান কোন গৃহ আছে, তাহা বলিয়া বোধ হয় না। এই দুই ঘর ছাড়া,-আছে ঐ এক গম্বুজ !—তাহার ভিতর কোন সুন্দর সুসজ্জিত গৃহ আছে, এ কথা বলিলে লোকে পাগল বলিবে। তবে আমরা যাহা দেখিয়াছি তাহা কি ? ভৌতিক ক্যাপার ভিন্ন আর কি হইতে পারে ?” অজিত সিংহ উন্মুক্ত আসি। হস্তে নিম্নস্থ গৃহ বিশেষ পৰ্যবেক্ষণ করিয়া দেখিলেন,-কোথায়ও কোন গুপ্ত দ্বার নাই,-কোথায়ও কোন গুপ্ত গৃহ থাকিবার বিন্দুমাত্র সম্ভবনা নাই। তিনি দ্বিতলস্থ গৃহই বিশেষ পর্যবেক্ষণ করিলেন,-কিন্তু কোথায়ও কিছু নাই। তখন অজিত সিংহ বলিলেন, “কোন জীবিত প্ৰাণীর এখানে আসিবার সম্ভাবনা নাই -আমি কাল রাত্ৰে যাহা দেখিয়াছি,-তাহা ভৌতিক কাণ্ড ব্যতীত আর কিছুই হইতে পারে না !—অথবা আমি ও রঘুবীর সিংহ আমরা উভয়েই স্বপ্ন দেখিয়া, তাহাকেই সত্য বলিয়। বিবেচনা করিতেছি ! যদি ভুতই হয়,--তবে উপরের ঘরে আমি বেগমমহল ও বেগমমহলের ভয়াবহ ব্যাপার। আর প্রায় সেই একই সময়ে নীচের ঘরে রঘুবীর অন্য বিভীষিকা দেখিবে কেন ? ভূতে হত্যাকাণ্ড দেখাইবে কেন ? এখনও সেই রাক্ষসীর ভয়াবহ বাক্য, আমার কর্ণে ধ্বনিত হইতেছে। “কাল তোমার পালা !” না-স্বপ্ন নয়,-স্পষ্টতঃ আমি সুদৃঢ় রাজুতে পালঙ্কে আবদ্ধ ছিলাম।--আর যদি স্বপ্ন না হয়, তাহা হইলে ভৌতিক ব্যাপার ভিন্ন আর কি হইবে ! কিন্তু ভূত আমাদের দুই জনের সম্মুখে দুই ভাবে আবিভূতি হইবে কেন ?” এইরূপ ভাবিতে ভাবিতে অজিত সিংহ বাহিরে আসিলেন।-- দেখিলেন দ্বারের পার্থে প্রাচীরের ছায়ায় রঘুবীর সিংহ বসিয়া আছেন ;