পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डाgव्जा5का । Ե՞Տ অজিত সিংহ বলিয়া উঠিলেন, “নিশ্চয়ই।” এই সময়ে এক ক্ষুদ্র যঠিতে ভর করিয়া এক অতি বৃদ্ধ কঁাপিতে কঁাপিতে কষ্টে চলিতে চলিতে ধীরে ধীরে তথায় আসিয়া দাড়াইল । পরিধান শত গ্ৰন্থিযুক্ত অতি মলিন বস্ত্ৰ ;-কেশ তৈল বিনা জটা পাকাইয়া তাহার পুষ্টে অযত্নে লুটাইতেছে ;-গাল বসিয়া গিয়াছে ;-চক্ষু কোটরে বসিয়াছে, দেখিলে প্রকৃতই ইহাকে পাগল বলিয়া মনে হয় ; – অভাগিনী দুৰ্দশার শেষ সীমায় উপনীত হইয়াছে । ইহাকে দেখিলে পাষাণ হৃদয়েরও হৃদয় দুঃখে বিগলিত হয় । বৃদ্ধ ধীরে ধীরে যঠিখানি ভুমে রাখিয়া, হাতে ভর দিয়া বসিয়া পড়িল ;—তাহার পর রঘুবীকৃসিংহের মুখের দিকে চাহিয়া বলিল, “তুমি নও!” তাহার পর ধীরে ধীরে অজিত সিংহের মুখের দিকে চাহিয়া স্পন্দিত স্বরে বলিল, “তুমি !” অজিত সিংহ বলিলেন, “তুমি কি চাও ?” বৃদ্ধ পূৰ্বরূপ স্বরে বলিল, “আম্বারের রাজকুমারকে চাই।” “কেন ? আমিই আম্বারের রাজকুমার।” “আজিত সিংহ ?” “হা-আমার নামই অজিত সিংহ ।” “হঁ-হঁ,-ভাল, ভাল।-আমার-এক — সোণার চাদ-বুঝলে কিনা-সোণার চাদ-ছেলে ছিল,-বাছারে আমার !— সে যুদ্ধ কৰ্ত্তে— কৰ্ত্তে—মারা গেছে!-বাবা-তুই কোথায় গেলিরে বাবা-—” এই বলিয়া বৃদ্ধ কঁাদিয়া উঠিল।-অজিত সিংহ বৃদ্ধার দুঃ.ে দুঃখিত হইলেন ;-কিন্তু এ সময়ে তাহার এই সকল লইয়া সময় নষ্ট করিবার আদৌ ইচ্ছা ছিল না।-তিনি একটু বিরক্ত হইলেন ;- একটী আসরফি বাহির করিয়া বেলিলেন, “এইটা লাও ;-তোমার ছেলে যুদ্ধ করিতে করিতে মরিয়া থাকেতো স্বৰ্গ গিয়াছে!” ”