পাতা:বেদান্তগ্রন্থ - রামমোহন রায়.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

气心 ८दाióश् ত্ৰিগুণং দ্বিজসত্তম”। পূনরার বলা হইয়াছে “অব্যক্তং পুরুষে ব্ৰহ্মণ নিগুণে সংপ্ৰলীয়তে | ব্ৰহ্ম সূক্ষ্ম অবিজ্ঞেয় ; তিনিই সর্বভূতের অন্তরাত্মা, তিনিই জীব ; ব্ৰহ্ম হইতেই ত্ৰিগুণ অব্যক্ত উৎপন্ন হইয়াছে । হে ব্ৰাহ্মণ, সেই অব্যক্ত নিগুণ পুরুষে (ব্ৰহ্মে) বিলীন হয়। এইভাবে বৈদিক স্মৃতিসকলে, ব্ৰহ্মের জগৎকারণত্ব, আত্মার একত্ব ইত্যাদি সুস্পষ্ট প্রমাণিত। কপিল একটা নাম মাত্র। শ্বেতাশ্বতর (৫২ ) বলিয়াছেন ঋষিং প্রসূতং কপিলং যন্তমগ্রে জ্ঞানৈবিভৰ্ত্তি জায়মানং চপশ্যেৎ । এই মন্ত্রাংশে বৰ্ণিত কপিল কে, তার বর্ণনা নাই । রত্নপ্ৰভা টীকা উক্ত মন্ত্রাংশের এইরূপ অর্থ कब्रिधांgछन, আদৌ। যে জায়মানং চ কপিলং জনযোদ ঋষিম। প্ৰসূতং বিভূয়াজ্ঞানৈ শুংপশ্যেৎ পরমেশ্বরম। যে পরমেশ্বর আদিতে কপিল ঋষিকে জন্ম দিয়াছিলেন, এবং জন্মের পর তাহাকে জ্ঞানের দ্বারা পূর্ণ করিয়াছিলেন সেই পরমেশ্বরকে শ্বেতাশ্বতরের ঋষিরা দেখিয়াছিলেন । কে এই কপিল ? কেহ কেহ বলেন, হিরণ্যগৰ্ভই কপিল । যিনিই কপিল হউন না কেন, তাহার স্রষ্টা ' পরমেশ্বর, সেই পরমেশ্বরকে দেখাই উচিত। কপিলের স্রষ্টা ও জ্ঞানদাতা পরমেশ্বর অর্থাৎ পরব্রহ্মা ; সুতরাং ব্ৰহ্মই জগৎকারণ, প্ৰধানকারণবাদ সুতরাং অগ্ৰাহ। ইতরেষাং চানুপালন্ধেঃ। ২০১২ ৷ সাংখ্যশাস্ত্ৰে ইত্যর অর্থাৎ মহত্ত্বাদিকে যাহা কহিয়াছেন তাহা প্ৰামাণ্য নহে ; যেহেতু বেন্দেতে এমত সকল বাক্যের উপলব্ধি হয় नांदे ॥ २॥5॥३ ॥ টীকা—২য় সূত্ৰ-প্ৰধান হইতে মহৎ বা বুদ্ধিও মহৎ হইতে অহঙ্কারের উৎপত্তি বলিয়া সাংখ্য উল্লেখ করিয়াছেন, কিন্তু লোকে বা বেদে কোথাও এরূপ উল্লেখ নাই। সুতরাং এ সকল অগ্ৰাহ। বেদে যে যোগ কহিয়াছেন তাহা সাংখ্যমতে প্ৰকৃতি-ঘটিত করিয়া কহেন ; অতএব সেই যোগের প্রমাণের দ্বারা প্ৰকৃতি প্ৰামাণ্য হয় V