পাতা:বেদান্তগ্রন্থ - রামমোহন রায়.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b 8 cदाiछ &छ রামমোহনগ্ধত ১০নং সূত্রের পাঠ স্বপক্ষেই দোষাচ্চ ; ইহার অর্থ, নিজের পক্ষে অর্থাৎ ব্ৰহ্মকারণবাদ বিষয়ে কোন দোষের উল্লেখ না থাকায়, তাহাই গ্ৰাহ। প্ৰধানকারণবাদ বিষয়ে ১১|৫ সূত্র হইতে ১১শ সূত্র পর্যন্ত বহু দোষ দর্শিত হইয়াছে ; তাই তাহা অগ্র্যহা। ভাষ্যকারধত ১ নং সূত্র, স্বপক্ষ দোষাচ্চ । সাংখ্য বেদান্তের উপর যে সকল দোষের আরোপ করেন, তার নিজের পক্ষে অর্থাৎ সাংখ্যেও সেই সকল দোষ রহিয়াছে ; পুনরায় আপত্তি, ব্ৰহ্ম বিষয়ে শ্রুতিই একমাত্ৰ প্ৰমাণ, ইহা স্বীকার করা যায় না ; মানুষ বুদ্ধির দ্বারা তর্ক করিয়াই নূতন নূতন তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করিতেছে ; স্বাধীনচিন্তাপ্রসূত তর্কের দ্বারাই জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতি হইতেছে, সুতরাং তর্কই গ্ৰাহ । উত্তরে বেদব্যাস বলিতেছেন, কপিলাদির তর্ক অবলম্বন করিয়া ব্ৰহ্মকারণবাদ অগ্ৰাহা করিলে মোক্ষেরই উচ্ছেদ হইবে, মানুষের সর্বনাশ श्रेय । তর্ক কি ? ব্যাপ্যারোপেণ ব্যাপকারোপঃ-ই তর্ক । ইহা নু্যায়শাস্ত্রের ংজ্ঞা ; সহজ কথায়, কাৰ্যকারণসূত্র অবলম্বনে একটী প্রতিষ্ঠিত মতকে খণ্ডিত করিয়া যখন অপর মতের স্থাপন করা হয়, তখন তাহাই হয় তর্ক । কিন্তু যাহা কাৰ্যকারণ সম্বন্ধ বা কোন লৌকিক প্রমাণের’ অধীন নহে, সেই অতীন্দ্ৰিয়বিষয়ে তর্কের অবকাশ কোথায় ? তর্কের প্রতিষ্ঠাই নাই, এক বুদ্ধিমান তর্কের দ্বারা যে সিদ্ধান্ত স্থাপন করিলেন, অধিকতর বুদ্ধিমান তাহা খণ্ডন করিয়া অপর সিদ্ধান্ত প্ৰতিষ্ঠা করিলেন । এরূপ তো সর্বত্র সর্বদাই ঘটিতেছে, তাই নিরঙ্কুশ তর্কের দ্বারা সত্য নির্ণয় সম্ভব নহে। এ বিষয়ে রত্নপ্ৰভা বলিতেছেন-কখনো কখনো তর্কের প্রতিষ্ঠা থাকিলেও, ব্ৰহ্ম জগৎকারণ, এই বিশেষ বিষয়ে তর্কের অবকাশ নাই । ( কাচিৎতর্কস্য LBDDSBB SYKDDDDDBBBS BBB S DDLDD DD SS S SBDBDD বলিতেছেন, আমরা অন্যবিষয়ে তর্ককে অপ্ৰমাণ মনে করি না ; কিন্তু ব্ৰহ্ম কারণবাদ বিষয়ে কোন স্বাভাবিক প্ৰতিবন্ধ বা অন্য কোন হেতু নাই, যাহাতে তর্ক উঠতে পায়ে ( ন ব্যয়ম অন্যত্র তর্কম অপ্ৰমাণ্যযাম, কিন্তু জগৎকারণ সত্ত্বে चांडांत्रिकeंडित्रश्व लिश्शछि) ! কিন্তু এত বিস্তৃতভাবে সাংখামতেরই আলোচনা বেদব্যাস করিলেন। কেন ? অন্য দার্শনিকদের কথা তো বলিলেন না ? এই প্রসঙ্গে সূত্র ১২-তে বেদব্যাস বলিলেন, সাংখ্যেরাই ব্ৰহ্মকারণবাদের প্রধান বিরোধী, তাই