পাতা:বেদান্তগ্রন্থ - রামমোহন রায়.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O) ८छु。छ् হয়। রামমোহন। এখানে ঈশ্বর শব্দের দ্বারা পুরুষকেই বুঝাইয়াছেন ; কারণ প্রধানের সংযোগ পুরুষের সঙ্গে, কারিকাতে একথাই বলা হইয়াছে। অবশ্য ভাষ্যে পরে বেদান্তমতের উল্লেখ আছে, এবং রামমোহন যাহা বলিয়াছেন তাহাও আছে। ব্ৰহ্ম নিস্ক্রিয় কিন্তু মায়াযোগে ক্রিয়াবান মনে হয়। ব্যাখ্যা স্পষ্ট । আঙ্গিত্বানুপপত্তেশ্চ ৷৷ ২২৮ ৷৷ বেদে সত্ত্ব রজ তম তিন গুণের সমতাকে প্ৰধান কহেন, এই তিন গুণের সমতা দূর হইলে সৃষ্টির আরম্ভ হয়, অতএব প্রধানের সৃষ্টি আরম্ভ হইলে সেই প্ৰধানের অঙ্গ থাকে না ৷৷ ২1$ ]৮ ৷৷ টীকা-৮ম সূত্ৰ-সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ এই তিন গুণের সাম্যাবস্থাই প্ৰধান ; অর্থাৎ প্ৰধানাবস্থায়, কোন গুণই আঙ্গি অর্থাৎ প্ৰধান এবং অপর দুই গুণ অঙ্গ অর্থাৎ অপ্রধান নহে। সুতরাং যতক্ষণ প্ৰধানাবস্থা থাকে ততক্ষণ অহং অহঙ্কার প্রভৃতির সৃষ্টি হইতে পারে না ; ইহা প্ৰথম দোষ। যখন কোন একটী গুণ অপর দুই গুণকে অভিভূত করিয়া প্ৰবল হয়, তখনই সৃষ্টি আরম্ভ হয়। কিন্তু সাম্যাবস্থায় তিন গুণই প্ৰধান অর্থাৎ সমশক্তি ছিল । উৎপত্তির মুহুর্তে একটী গুণ কর্তৃক অপর দুই গুণের অভিভব ঘটে, নিশ্চয়ই বাহা কোন শক্তিদ্বারা ; কিন্তু সেই শক্তির নিরূপণ সাংখ্য শাস্ত্ৰে নাই। ইহা দ্বিতীয় QR অন্যথা নুমিতে চ জ্ঞানশক্তিবিয়োগাৎ ৷৷ ২২৯ ৷৷ কার্যের উৎপত্তির দ্বারা প্ৰধানের অনুমান যদি করিতে চাহ তাহা করিতে পরিবে না, যেহেতু জ্ঞানশক্তি প্রধানে নাই আর জ্ঞানশক্তি ব্যতিরেকে সৃষ্টি-কর্তা হইতে পারে নাই ৷৷ ২২৯ ৷৷ টীকা—৯ম সুত্ৰ-গুণসকল চঞ্চল, ইহা স্বীকৃত হয় ; সুতরাং সাম্যাবস্থায়ও গুণসকলের মধ্যে বৈষম্যপ্রবণতা থাকা সম্ভব, সেই জন্য সৃষ্টিও আরম্ভ হইতে পারে ; কিন্তু বিচিত্রাকার সৃষ্টি তো সম্ভব নহে ; কারণ BDBDBDB BLBBBBD DBDDiD DDD BDD BDDDB BDBDB BDB DBuC সম্ভব হয় না। যদি কেহ বলেন যে প্রধানে জ্ঞানশক্তি আছে, এবং সেই জন্য