পাতা:বেদান্তগ্রন্থ - রামমোহন রায়.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় ৪ দ্বিতীয় পাদ। SSVO যদি বল, পরমাণুর গুণ নাই, তবে পরমাণুর কার্ধে অর্থাৎ জগতে রূপাদির প্ৰকাশ হইবে না। সুতরাং এই মত অসিদ্ধ। অপরিগ্রহচােত্যন্ত মনপেক্ষা ৷৷ ২২১৭ ৷৷ বিশিষ্ট লোকেতে কোন মতে পরমাণু হইতে সৃষ্টি স্বীকার করেন নাই। অতএব এ মতের কোন প্রকারে প্রামাণ্য হইতে পারে नांदे ॥ २॥९॥ऽ१ ॥ টীকা-১৭শ সূত্ৰ-সাংখ্যোর মতবাদের কোন কোন অংশ মণুপ্ৰভৃতি বিশিষ্ট ব্যক্তিরা স্বীকার করিয়াছেন ; কিন্তু পরমানু হইতে জগতের সৃষ্টি, মনু প্ৰভৃতি কেহই স্বীকার করেন নাই ; সুতরাং পরমাণুকারণবাদ অগ্ৰাহ। বৈভাষিক সৌত্ৰিান্তিকের মত এই যে, পরমাণুপুঞ্জ আর পরমাণুপুঞ্জের পঞ্চস্কন্ধ এই দুই মিলিত হইয়া সৃষ্টি জন্মে। প্ৰথমত রূপস্কন্ধ অর্থাৎ চিত্তকে অবলম্বন করিয়া গন্ধ রস রােপ স্পশ শবদ যাহা নিরাপিত আছে, দ্বিতীয়ত বিজ্ঞানস্কন্ধ অর্থাৎ গন্ধাদের জ্ঞান, তৃতীয়ত বেদনা স্কন্ধ অর্থাৎ রূপাদের জ্ঞানের দ্বারা সুখ দুঃখের অনুভব, চতুর্থ সংজ্ঞাস্কন্ধ অর্থাৎ দেবদত্তাদি নাম, পঞ্চম সংস্কার স্কন্ধ অর্থাৎ রােপাদের প্রাপ্তি ইচ্ছা। এই মতকে বক্তব্য সূত্রের দ্বারা নিরাকরণ করিতেছেন। সমুদায় উভয়হেতুকোহপি তদপ্রাপ্তিঃ ।। ২২/১৮ ৷৷ অর্থাৎ পরমাণুপুঞ্জ আর তাহার পঞ্চস্কন্ধ এই উভয়ের দ্বারা যদি সমুদায় দেহ স্বীকার কর তত্ৰাপি সমুদায় দেহের সৃষ্টি ঐ উভয় হইতে নিৰ্বাহ হইতে পারে নাই, যেহেতু চৈতন্যস্বরূপ কর্তার ঐ উভয়ের মধ্য উপলব্ধি হয় নাই ॥ ২২।১৮ ৷৷ টীকা-১৮শ-৩২শ সূত্ৰ-বৌদ্ধমতবাদ খণ্ডন। বৌদ্ধমতবাদের মূলসূত্র ভগবান বুদ্ধের একটী উক্তি। বুদ্ধ বলিয়াছিলেন সৰ্বং ক্ষণিকং সৰ্বম অনিত্যং সৰ্বম অনাত্মম। বৌদ্ধদের মধ্যে চারি প্রকার মতবাদের প্রচার আছে; বৈভাষিক মতবাদ, সৌত্ৰিান্তিক, যোগাচার বা DDBDDD BD DDBD D DBDD S BBDBBDBD DBDDD BBB