পাতা:বেদান্তগ্রন্থ - রামমোহন রায়.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO বেদান্তগ্ৰন্থ আপনার তারের প্রবাহিত আলোকরশ্মি তাহার তার বাহিয়া তার ঘরাও আলোকিত করিবে। এক আত্মাতে মনের সংযোগ ঘটিলে, সেই সংযোগ অপর সন্নিহিত আত্মাতেও প্রসারিত হইবে (Extension), ইহাই এ বিষয়ে দৃষ্টান্ত। ন্যায়শাস্ত্ৰও বহু পুরুষ অর্থাৎ আত্মা স্বীকার করেন। আলোচ্য বিষয়ে তার মত বৈশেষিকের সঙ্গে এক ; যুক্তিও একই। এই বিষয়ে রামমোহন বলিয়াছেন, সাংখ্যেরা কহোন, সকল জীবের ভোগাদি প্ৰধানের সম্বন্ধে হয়, অর্থাৎ প্ৰধানই জীবের ভোগদান করেন ; নৈয়ায়িকের কাহেন, জীবের ও ঈশ্বরের সর্বত্র সম্বন্ধ হয়, অর্থাৎ সর্বব্যাপী BDDBD DDDB BBD DBDD DBD BBDD BBB BBDBD BBDDDD DDB সম্বদ্ধ ; এই দুই মতে দোষ স্পর্শে, যেহেতু এই মত হইলে, এক জীবের ধর্ম অর্থাৎ সুখ দুঃখাদি, অন্য জীবেও উপলব্ধি হইবে, অর্থাৎ কর্মফলের সাংকৰ্য ঘটবে। এই কৰ্মফল সাংকর্ষের খণ্ডনের জন্য সাংখ্য ন্যায় প্রভৃতি বলেন, সুখ দুঃখ ভোগের নিয়ামক অদৃষ্ট । টীকা-৫২শ সূত্ৰ-আত্মাসকল কায় মন ও বাক্যের দ্বারা যে সকল কর্ম করে তার ফলে ধর্মাধৰ্মরূপে অদৃষ্ট উপাজিত হয়। সেই অদৃষ্টই সুখ দুঃখ ভোগের নিয়ামক। সাংখ্যোরা বলেন, এই অদৃষ্ট আত্মাতে থাকে না, প্রধানেই থাকে। ন্যায় বৈশেষিক বলেন, আত্মা ও মনের প্রথম সংযোগ ক্ষণেই অদৃষ্ট উৎপন্ন হয়। এ সকল যুক্তি স্বীকার করিলেও কোন অদৃষ্ট কোন আত্মার, তাহার সুনিরূপণ অসম্ভব ; সেই সাংকৰ্য দোষের সম্ভাবনাই থাকিল। রামমোহন বলিতেছেন, সাংখ্যেরা বলেন, অদৃষ্ট প্রধানে থাকে ; নৈয়ায়িকেরা কহেন অদৃষ্ট জীবে থাকে। এইরূপ হইলে, প্ৰধান সর্বত্রব্যাপী হওয়াতে এবং জীবও ব্যাপী হওয়াতে প্ৰধানের সম্বন্ধ সর্বত্র ঘটিতেছে, জীবেরও সম্বন্ধ সর্বত্র ঘটিতেছে। সুতরাং প্রধানের ও জীবের সর্বত্র সম্বন্ধের দ্বারা অদৃষ্টের অনিয়ম হয়। অর্থাৎ কোন অদৃষ্ট কোন আত্মার, তার নিয়ামক থাকে না ; অতএব এই দুই মতে দোষ তদাবস্থা রহিল অর্থাৎ সাংকৰ্য দোষের जgांवना था कि भ्रांई c१ल । যদি কহ আমি করিতেছি এইরূপ পৃথক পৃথক জীবের সঙ্কল্প পৃথক পৃথক অদৃষ্টের নিয়ামক হয় তাহার উত্তর এই ৷