পাতা:বেদান্তগ্রন্থ - রামমোহন রায়.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

€खांदन (e) ভামতী টীকার তথা বেদান্তের প্রচার সে সময় বাংলাদেশে ছিল না, ইহা স্বীকার করিতে হয়। রামমোহনের বৈদান্তিক মন্তসংগ্ৰহ রামমোহনের মতে—(ক) ব্ৰহ্ম নির্বিশেষ (স্বত্র ৩২৷১১), নিরুপাধিক (৩২৷১২), চৈতন্যমাত্র, লবণপিণ্ডের অন্তর বাহির যেমন শুধু লবণ, তেমনি ব্ৰহ্ম সৰ্বথা বিজ্ঞানস্বরূপ (৩২১৬)। ব্ৰহ্মাকে সৎ বা অসৎ শব্দের দ্বারা বিশেষিত করা যায় না, সুতরাং ব্ৰহ্ম আদি অন্তহীন একরস বিজ্ঞানমাত্র ( ৩২৷১৭ )। সৃষ্ট্যাদি বিকারে থাকেন না বলিয়া নিগুণ স্বরূপেতেই ঈশ্বরের স্থিতি হয় ( ৪।৪।২০ ()। প্ৰকৃতি কার্যের দ্বারা ব্ৰহ্ম পরিচ্ছিন্ন হন না। ( অথাত: আদেশঃ নেতি নেতি ) (ગરાર ર) (খ) জীব নিত্য, কারণ বেদে তার উৎপত্তির কথা নাই ( ২।১।৭)। জীব স্বপ্ৰকাশ, তাহার জ্ঞান জন্যজ্ঞান নহে। জীবের দর্শন শ্রবণ প্রভৃতি শক্তি নিত্য, কিন্তু ঘটপটাদির আধুনিক প্ৰত্যক্ষ লইয়া আধুনিক জ্ঞান হয় (২।১।১৮)। জীব স্বরূপত: বিভু কিন্তু বুদ্ধির সঙ্গে সংযুক্ত থাকাতে বুদ্ধির অণুত্বের জন্য জীবকে অণু মনে করা হয় । ( ২।১।৩০ ) । (গ) বিশ্বজগৎ-ব্রহ্ম সর্বগত, সুতরাং যাহা বিশ্বজগৎ বলিয়া মনে হয়, তাহা ব্ৰহ্মই, বিশ্ব ও ব্ৰহ্ম অভেদ, নতুবা সর্বগতত্ব সিদ্ধ হয় না। (৩|২৩৮)। জগৎ ব্রহ্মের বিবর্তমাত্র ( ১৪.২৬ ও ক্ষুদ্র পত্রী দ্রষ্টব্য )। (ঘ) ব্ৰহ্ম ও জীবের সম্বন্ধ-জীব সংরাধনে অর্থাৎ সমাধিতে ব্ৰহ্মাকে সাক্ষাৎ উপলব্ধি করে ; কিন্তু তাই বলিয়া ব্ৰহ্ম ও ধ্যানকারী জীব ভিন্ন নহে ; বেদবাক্যের পুনঃ পুন: উক্তি জীব ও ব্রহ্মে ভেদ নাই। সুর্যে এবং সূর্যের প্ৰকাশে যেমন অভেদ, জীব ও ব্রহ্মেও সেই প্ৰকার অভেদ ( ৩|২২৫ ) । সর্বত্র প্রসারিত সুৰ্যকিরণ দেখা যায় না, কিন্তু অন্য কোন বস্তুর উপর পাড়িলেই কিরণ পৃথক বলিয়া বোধ হয় ; সেইরূপ কর্ম উপাধি থাকিলে ব্ৰহ্মের প্রকাশকে জীব বলিয়া আখ্যাত করা হয়। অর্থাৎ সূর্য ও কিরণ এক ও অভিন্ন, কিন্তু দেয়াল বা অন্য কোন উপাধি যোগ হইলে, কিরণ ভিন্ন মনে হয় ; সেইরূপ ব্ৰহ্ম ও জীব এক ও অভিন্ন ; কিন্তু ব্ৰহ্ম সর্বগত সৰ্বব্যাপী, দ্বিতীয় পদার্থ না থাকাতে ব্ৰহ্মের কর্ম নাই ; কিন্তু কোথাও কর্মের উপলব্ধি হইলে সেই কর্মের कऊँicकछे औद अiथT cअी श्व। ( ७२।२७ )