পাতা:বেদান্তগ্রন্থ - রামমোহন রায়.pdf/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় : তৃতীয় পাদ। & OS হইয়াছে। জীবের সত্তায় ঈশ্বরের সত্তা হয় না, ইহার অর্থ যাহাকে জীব ভাবা হয় তাহাতে ঈশ্বর নাই। সুতরাং ঈশ্বরে জীবের যে সত্তা, তাহাও কল্পিত হইয়া পড়িল । সুতরাং ঈশ্বরই, ব্ৰহ্মই একমাত্ৰ সত্য, জীবাত্মা কাল্পনিক মাত্র, ইহাই রামমোহনের উক্তির তাৎপৰ্য । রামমোহন আরো বলিয়াছেন, জীব ব্যতিরেকে অপর ঈশ্বর ইন্দ্ৰিয়ের দ্বারা উপলব্ধি হইতে পারে না, এই আপত্তি অসঙ্গত । ঈশ্বরের সত্তায় জীবের সত্তা, ইহা মানিলেও, জীব কোনমতেই ঈশ্বর হইতে পারে না । ঈশ্বর অপর বস্তুর ন্যায় ইন্দ্ৰিয়গ্রাহ্য নহেন ; কেবল উত্তম জ্ঞানের দ্বারাই ঈশ্বরের উপলব্ধি श्, अन्Jथ नgश् । কোন শাখাতে উদগীথের অবয়ব ওঁকারে প্রাণের উপাসনা কহিয়াছেন আর কোন শাখাতে উকথাতে পৃথিবীর উপাসনা কহেন, এই রূপ উপাসনা সেই সেই শাখাতে হুইবেক অন্য শাখাতে হইবেক নাই এমত নহে । অঙ্গাববাদ্ধাস্তু ন শাখাসু হি প্ৰতিবেদং ।। ৩৷৷৩৫৬৷৷ অঙ্গাবদ্ধ অর্থাৎ অঙ্গাশ্রিত উপাসনা প্ৰতি বেদের শাখাবিশেষে কেবল হইবেক না, বরঞ্চ এক শাখার উপাসনা অপর শাখাতে সংগ্ৰহ হইবেক, যেহেতু উদ্‌গীথাদি শ্রুতির শাখাবিশেষের দ্বারা বিশেষ না 23 | \S) SOQ Ve টীকা—৫৬শ সূত্ৰ-বেদে একপ্রকার উপাসনা আছে, তার নাম অঙ্গাব্যবদ্ধ উপাসনা বা কর্মাঙ্গাশ্রিত উপাসনা। “কর্মাঙ্গাশ্রিত উপাসনাসকল আছে ; যথা উদগীথের অবয়বভূত ওঁঙ্কারে প্রাণদৃষ্টি, উদগীথে পৃথিবীদৃষ্টি, পঞ্চবিধসামে পৃথিব্যাদি দৃষ্টি ইত্যাদি’ ( সদাশিবেন্দ্র সরস্বতীকৃত বৃত্তি)। ছাঃ ৩য় ও ২য় অধ্যায়ে এ সকল বর্ণিত আছে। এ সকল উপাসনা অনুষ্ঠান নহে। দৃষ্টি শব্দের অর্থ ভাবনা । সামবেদের যে অংশ উচ্চস্বরে গীত হয় তাহা উদগীথ । ছাঃ প্ৰথমে বলা হইয়াছে উদগীথের মধ্যে যে ওঙ্কার আছে তাহা প্ৰাণ । এই ওঙ্কার অবলম্বনে তাহা প্ৰাণ এই ভাবনা করিতে করিতে প্ৰাণস্বরূপ উপলব্ধ হয়। ইহাই ওঙ্কারে প্রাণদৃষ্টি। যেহেতু এই ওঙ্কার উদগীথের অঙ্গ, সেই হেতু ইহা অঙ্গাব্যবদ্ধ উপাসনা ।