পাতা:বেদান্তগ্রন্থ - রামমোহন রায়.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

egtra (S1) সুতরাং ব্ৰহ্মনিষ্টতা (ব্ৰহ্মসংস্থা )-এর তাৎপৰ্য ব্রহ্মেই, কর্ম ত্যাগে নহে। কর্মত্যাগই ব্ৰহ্মনিষ্টা এমন প্ৰমাণ নাই। তপস্যার উল্লেখের দ্বারা বানপ্ৰস্থ এবং ভিক্ষু এই দুই আশ্রমকে এক বলিয়া গণ্য করা হইয়াছে ; তাহাতেও তিন আশ্রমই রহিল। এই তিন আশ্রমের যাহারা অব্রহ্মসংস্থ অর্থাৎ ব্রহ্মনিষ্ট হন। নাই, তাহারা স্বৰ্গলোক প্ৰাপ্ত হন, পরন্তু ইহাদের মধ্যে যিনি ব্ৰহ্মসংস্থ হন, তিনি অমৃতত্ব লাভ করেন । যাহারা পুণ্যলোকভাগী তাহারাই অমৃতত্বভাগী হইতে পারে, ইহাতে বিরোধ নাই। দেবদত্ত ও যজ্ঞদত্ত নামে দুই ব্যক্তি মন্দবুদ্ধি, কিন্তু পরিশ্রমসহ শাস্ত্রপাঠ করিয়া যজ্ঞদত্ত একদিন শাস্ত্ৰপটু হইতে পারে। যাহারা আজ অব্রহ্মসংস্থ এবং পুণ্যলোকভাগী, তাহারাই ভবিষ্যতে ব্ৰহ্মসংস্থা এবং অমৃতত্বভাগী হইবে, অবস্থাভেদ হেতু ইহাতে বিরোধের অবকাশ নাই।” মনোযোগ দিয়া পড়িলে দেখা যাইবে, ভাষ্যকার ব্ৰহ্মসংস্থ শব্দের যে অর্থ করিয়াছেন, আচাৰ্য তাহ সম্পূর্ণ খণ্ডন করিয়াছেন ; ভাষ্যকারের ব্যাখ্যায় যাহাঁদের অমৃতত্বের আশা ছিল না, আচার্যের ব্যাখ্যায় তাহদের সকলেরই অমৃতত্ব লাভের অধিকার স্বীকৃত হইল। কেহ বলিতে পারেন, ইহা liberal interpretation of the shastras. Acri Stf(\5 25(-, -itself fie, শ্রীতিবিরুদ্ধ বা শাস্ত্রীয় যুক্তিবিরুদ্ধ কিছুই বলেন নাই। আর, সতর্ক থাকিতে হইবে, যেন কেহ liberal interpretation, আর ব্রহ্মসাধনাকে cheap করা, এক কথা মনে না করেন । যিনি বাচস্পতি মিশ্রেীর নির্দেশানুসারে ব্ৰহ্মাৰ্পণপূর্বক কর্ম করিতে চেষ্টা করিবেন, তিনি বুঝিতে পরিবেন, ইহা কত কঠিন। তবে ঐকান্তিক নিষ্ঠ থাকিলে সাধনা নিশ্চয়ই সিদ্ধ হয়। ব্ৰহ্মজ্ঞের কর্ম ব্ৰহ্মজ্ঞের কর্ম কি প্রকারে সম্ভব ? এই প্রশ্নের উত্তরে রামমোহন विधिशांछन । “বহির্ব্যাপারসংরম্ভে হৃদি সংকল্পবৰ্জিত: | কৰ্ত্তা বহিরাকৰ্ত্তান্তরে।বং বিহর রাঘব ॥ যোগবশিষ্টে বশিষ্ট রামকে বলিলেন “বাহোতে ব্যাপারবিশিষ্ট হইয়া কিন্তু মনেতে সংকল্পবৰ্জিত হইয়া, বাহিরে আপনাকে কর্তা দেখাইয়া আর অস্তরে আপনাকে আকর্তা জানিয়া, হে রাম, লোকযাত্রা নির্বাহ কর।” ( অনুবাদ রামমোহনকৃত ) ৷ ইহা হইতে রামমোনের কর্মপ্রচেষ্টার স্বরূপ বুঝা যায়। (क)