পাতা:বেদান্তগ্রন্থ - রামমোহন রায়.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম অধ্যায় : তৃতীয় পাদ। 8s এই সকল আলোচনা অপ্রাসঙ্গিক বা নিরর্থক নহে ; এই সকলই ভাষাfristCris (Science of language) as at(Tfby frt free etSR ভাষাতেই এই সবের আলোচনা অল্পবিস্তর আছে । (ক) এই সূত্রের তাৎপৰ্য এই, বিগ্রহযুক্ত দেবতা অনিত্য কিন্তু বেদবাক্য নিত্য ; দেবতার বিগ্ৰহ স্বীকার করিলে বেদে শব্দ ও অর্থের নিত্যসম্বন্ধ বাধিত হয় । ইহার উত্তর এই যে, তাহা বাধিত হয় না ; শ্রুতি বলিয়াছেন “প্রজাপতি মনের দ্বারা বাক্যের মিথুন অর্থাৎ যুগল হইলেন। স মনসা বাচং মিথুনম অভবৎ। অর্থাৎ শব্দ ও অর্থের সম্বন্ধ নিত্য। “গো” বলিলে একটি গোকেও বুঝায় এবং গোজাতিকে (class concept )ও বুঝায়। বেদ শুধু জাতিকে (class concept) কে প্ৰকাশ করে, ব্যক্তিবিশেষকে নহে। একটী গো মরিয়া যাইবে, কিন্তু গোজাতির ধারণা লুপ্ত হইবে না। তেমনি দেবতাবিশেষ লুপ্ত হইতে পারে, দেবতা জাতি নিত্যই থাকিবে । ইহাই রামমোহনের কথার তাৎপৰ্য । (খ) বেদান্ত স্বীকার করেন, প্ৰতি কল্পের অন্তে মহাপ্ৰলয় ঘটে, বেদও বিলুপ্ত হয়। সুতরাং মহাপ্ৰলয় না হওয়া পর্যন্ত বেদ নিত্য। (গ) মহাপ্রলয়ের পর নূতন কল্প আরম্ভ হয় ; বেদও অযত্নপ্রসূত নিঃশ্বাসের মত ব্ৰহ্ম হইতে প্ৰকাশিত হন। কিন্তু এই বেদ পূর্বের বেদ হইতে কোন মতেই ভিন্ন নহে ; যে বেদ অন্তহিত হইয়া যায় তাহাই পুনঃ প্ৰকাশিত হয় । এইরূপে কল্পে কল্পে বেদ সহ সমগ্র জগতের আবির্ভাব তিরোভাব পুনঃ পুনঃ BDBBDBSSSBD BBL DBDSBDD DBDDD DSBDB তত্ত্ব সামান্যভাবেও পরিবর্তিত হয় না। অর্থাৎ সৃষ্টি সর্বদাই সমানাকার। মানুষের প্রতিদিনের অভিজ্ঞতায়ও এই তত্ত্বের সমর্থন পাওয়া যায়। আজ জাগ্ৰাৎকালে জগৎ দেখিলাম, তারপর রাত্রিতে শয়ন করিয়া সুষুপ্তিতে প্ৰবেশ করিলাম, আমার জ্ঞান বিলুপ্ত হইল, পরদিন আবার জাগিয়া উঠিলাম এবং ঠিক পূর্বদিনের জগৎই দেখিলাম। ব্যক্তির জীবনে যাহা ঘটে, প্ৰলয়কালেও তাহাই ঘটে। বেদ সহ সমগ্র জগৎ প্ৰলয়ে অন্তহিত হয় ; প্ৰলয়ের অবসানে, নূতন কল্পারম্ভে সেই বেদ সহ সেই জগতই আবির্ভূত হয়। পূর্বকল্পে অন্তহিত বেদই পরকল্পে প্ৰকাশিত হয়। এই ভাবেই বেদ নিত্য। এইজন্যই বলা হয় যস্য নিঃশ্বসিতং বেদাঃ । 8