পাতা:বেলা অবেলা কালবেলা - জীবনানন্দ দাশ.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: ו. כ. শতাব্দী চারদিকে নীল সাগর ডাকে অন্ধকারে, শুনি ; ঐখানেতে আলোকস্তম্ভ দাড়িয়ে আছে ঢের একটি-দুটি তারার সাথে —তারপরেতে অনেকগুলো তারা ; অন্নে ক্ষুধা মিটে গেলেও মনের ভিতরের ব্যথার কোনো মীমাংসা নেই জানিয়ে দিয়ে আকাশ ভরে জলে ; হেমন্ত রাত ক্রমেই আরো অবোধ ক্লান্ত অধোগামী হয়ে চলবে কি-না ভাবতে আছে —ঋতুর কামচক্রে সে তো চলে ; কিন্তু আরো আশ আলো চলার আকাশ রয়েছে কি মানবহৃদয়ে । অথবা এ মানবপ্রাণের অনুতর্ক ; হেমন্ত খুব স্থির সপ্রতিভ ব্যাপ্ত হিরণগভীর সময় ব’লে ইতিহাসের করুণ কঠিন ছায়াপাতের দিনে উন্নতি প্রেম কাম্য মনে হ'লে হৃদয়কে ঠিক শীত সাহসিক হেমন্তলোক ভাবি ; চারিদিকে রক্তে রৌদ্রে অনেক বিনিময়ে ব্যবহারে কিছুই তবু ফল হ’ল না ; এসে মানুষ, আবার দেখা যাক সময় দেশ ও সন্ততিদের কী লাভ হতে পারে। ইতিহাসের সমস্ত রাত মিশে গিয়ে একটি রাত্রি আজ পৃথিবীর তীরে ; কথা ভাবায়, ভ্রান্তি ভাঙে, ক্রমেই বতশোক করে দিতে পারে বুঝি মানবভাবনাকে ; অন্ধ অভিভূতের মতো যদিও আজ লোক চলছে, তবু মানুষকে সে চিনে নিতে বলে : কোথায় মধু—কোথায় কালের মক্ষিকারা—কোথায় আহ্বান নীড় গঠনের সমবায়ের শান্তি-সহিষ্ণুতার ;– মানুষও জ্ঞানী ; তবুও ধন্ত মক্ষিকাদের জ্ঞান। কাছে-দূরে এই শতাব্দীর প্রাণনদীরা রোল স্তব্ধ কবে রাখে গিয়ে যে-ভূগোলের অসারতার পরে