পাতা:বেলা অবেলা কালবেলা - জীবনানন্দ দাশ.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্থিরতর প্রিয় তুমি –নি:সূর্য নির্জন ক'রে দিতে এলে । মিলন ও বিদায়ের প্রয়োজনে আমি যদি মিলিত হতাম তোমার উৎসের সাথে, তবে আমি অন্য সব প্রেমিকের মতো বিরাট পৃথিবী আর সুবিশাল সময়কে সেবা ক’রে আত্নস্থ হতাম। তুমি তা জান না, তবু, আমি জানি, একবার - তোমাকে দেখেছি ;– পিছনের পটভূমিকায় সময়ের শেষনাগ ছিল, নেই ;—বিজ্ঞানের ক্লান্ত নক্ষত্রেরা নিভে যায় –মানুষ অপরিজ্ঞাত সে-অমায়; তবুও তাদের একজন গভীর মানুষী কেন নিজেকে চেনায় ! আহা, তাকে অন্ধকার অনন্তের মতো আমি জেনে নিয়ে, তবু অল্পায়ু রঙিন রৌদ্রে মানবের ইতিহাসে কে না জেনে কোথায় চলেছি ! छूट्रे চারিদিকে স্বজনের অন্ধকার রয়ে গেছে, নারি, অবতীর্ণ শরীরের অনুভূতি ছাড়া আরো ভালে৷ কোথাও দ্বিতীয় সূর্য নেই, যা জালালে তোমার শরীর সব আলোকিত ক’রে দিয়ে স্পষ্ট ক’রে দেবে কোনো কালে শরীরে যা রয়ে গেছে । এই সব ঐশী কাল ভেঙে ফেলে দিয়ে নতুন সময় গড়ে নিজেকে না গড়ে তবু তুমি ব্ৰহ্মাণ্ডের অন্ধকারে একবার জন্মাবার হেতু অনুভব করেছিলে ;– জন্ম-জন্মাত্তের মৃত স্মরণের সাকে তোমার হৃদয় স্পর্শ করে বলে আজ আমাকে ইসারাপাত ক’রে গেলে তারি ;– অপার কালের স্রোত না পেলে কী ক'রে তবু, নারি,