পাতা:বেলা অবেলা কালবেলা - জীবনানন্দ দাশ.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ* : হয়তো শখের মতো সমুদ্রের পিতা হয়ে সৈকতের পরে সেও সুর আপনার প্রতিভায়—নিসর্গের মতো : রূঢ়—প্রিয়—প্রিয়তম চেতনার মতো তারপরে । তাই আমি ভীষণ ভিড়ের ক্ষোভে বিস্তীর্ণ হাওয়ার স্বাদ পাই ; না হলে মনের বনে হরিণীকে জড়ায় ময়াল : দণ্ডা সত্যাগ্রহে আমি সে-রকম জীবনের করুণ আভাস অনুভব করি ; কোনো গ্লাসিয়ার-হিম স্তব্ধ কর্মোরেন্ট পাল— বুঝিবে আমার কথা , জীবনের বিদ্যুৎ-কম্পাশ অবসানে তুষার-ধূসর ঘুম ধাবে তারা মেরুসমূদ্রের মতো অনন্ত ব্যাদানে অবরোধ বহুদিন তামার এ-হৃদয়কে অবরোধ ক'রে রয়ে গেছে ; হেমন্তের স্তব্ধতায় পুনরায় করে অধিকার। কোথায় বিদেশে যেন এক তিল অধিক প্রবীণ এক নীলিমার পারে তাহাকে দেখিনি আমি ভালো করে,—তবু মহিলার মনন-নিবিড় প্রাণ কখন আমার চোখঠারে চোখ রেখে ব’লে গিয়েছিল : ‘সময়ের গ্রন্থি সনাতন, তবু সময়ও তা বেঁধে দিতে পারে ? বিবর্ণ জড়িত এক ঘর ; কী ক’রে প্রাসাদ তাকে বলি আমি ? অনেক ফাটল নোনা আরসোলা কৃকলাস দেয়ালের পর ফ্রেমের ভিতরে ছবি খেয়ে ফেলে অনুরাধাপুর—ইলোরার ; মাতিসের—সেজানের—পিকাসোর , । অথবা কিসের ছবি ? কিসের ছবির হাড়গোড় ? কেবল আধেক ছায়া—