পাতা:বেলা অবেলা কালবেলা - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যখন দেখেছি চেয়ে কৃষাণকে বিশীর্ণ পাগড়ী বেঁধে অস্তাক্ত আলোকে গঙ্গাফড়িঙের মতো উদ্বাহ মুকুর উঠেছে জেগে চোখে ;– যেন এই মৃত্তিকার গর্ভ থেকে অবিরাম চিন্তারাশি-নব-নব নগরীর আবাসের থাম জেগে ওঠে একবার ; আর একবার ঐ হৃদয়ের হিম প্রাণায়াম | সময়ঘড়ির কাছে রয়েছে অক্লাস্তি শুধু : অবিরল গ্যাসে আলো, জোনাকীতে আলো ; কর্কট, মিথুন, মীন, কন্যা, তুলা ঘুরিতেছে — আমাদের অমায়িক ক্ষুধা তবে কোথায় দাড়ালো । 8 X গভীর এরিয়েলে ডুবল সূর্য ; অন্ধকারের অন্তরালে হারিয়ে গেছে দেশ। এমনতর আঁধার ভালো আজকে কঠিন রুক্ষ শতাব্দীতে । রক্ত-ব্যথা ধনিকতার উঞ্চত এই নীরব স্নিগ্ধ অন্ধকারের শীতে নক্ষত্রদের স্থির সমাসীন পরিষদের থেকে উপদেশ পায় না নব ; তবুও উত্তেজনাও যেন পায় না এখন আর ; চার দিকেতে সার্থবাহের ফ্যাক্টরি ব্যাঙ্ক মিনার জাহাজ–সব, ইন্দ্রলোকের অপ্সরীদের ঘাটা, গ্লাসিয়ারের যুগের মতন আঁধারে নীরব। অন্ধকারের এ-হাত আমি ভালোবালি ; চেনা নারীর মতে অনেক দিনের অদর্শনার পরে আবার হাতের কাছে এসে জ্ঞানের আলো দিনকে দিয়ে কি অভিনিবেশে