পাতা:বেলা অবেলা কালবেলা - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষেরা এই সব পথে এসে চলে গেছে,—ফিরে ফিরে আসে ;—তাদের পায়ের রেখায় পথ কাটে কারা, হাল ধরে, বীজ বোনে, ধান সমুজ্জল কী অভিনিবেশে সোনা হয়ে ওঠে-দেখে ; সমস্ত দিনের আঁচ শেষ হলে সমস্ত রাতের অগণন নক্ষত্রেও ঘুমোবার জুড়োবার মতো কিছু নেই –হাতুড়ি করাত দাত নেহাই তুৰ্বপুন পিতাদের হাত থেকে ফিরেফিকৃতির মতো অন্তহীন সন্ততির সস্ততির হাতে কাজ ক'রে চ'লে গেছে কত দিন । অথবা এদের চেয়ে আরেক রকম ছিল কেউ-কেউ ; ছোট বা মাঝারি মধ্যবিত্তদের ভিড় ;– সেইখানে বই পড়া হত কিছু—লেখা হত ; ভয়াবহ অন্ধকারে সরু সলতের রেড়ীর আলোর মতে কী যেন কেমন এক আশাবাদ ছিল তাহাদের চোখে মুখে মনের নিবেশে বিমনস্কতায় ; সংসারে সমাজে দেশে প্রত্যন্তেও পরাজিত হলে ইহাদের মনে হত দীনতা জয়ের চেয়ে বড় ; অথবা বিজয় পরাজয় সব কোনো-এক পলিত চাদের এ-পিঠ ও-পিঠ শুধু ;–সাধনা মৃত্যুর পরে লোকসফলত দিয়ে দেবে ; পৃথিবীতে হেরে গেলে কোনো ক্ষোভ নেই। 来 皋 মাঝে-মাঝে প্রান্তরের জ্যোৎস্নায় তারা সব জড়ো হয়ে যেত— কোথাও সুন্দর প্রেতসত্য আছে জেনে তবু পৃথিবীর মাটির কাকালে কেমন নিবিড়ভাবে বিচলিত হয়ে ওঠে, আহা । সেখানে স্থবির যুবা কোনো-এক তন্বী তরুণীর নিজের জিনিস হতে স্বীকার পেয়েছে ভাঙা চাদে অর্ধ সত্যে অর্ধ নৃত্যে আধেক মৃত্যুর অন্ধকারে : অনেক তরুণী যুব-যৌবরাজ্য যাহাদের শেষ হয়ে গেছে—তারাও সেখানে অগণন