পাতা:বেলা অবেলা কালবেলা - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্রের কিরণে কিংবা হেমন্তের আরো অনবলুষ্ঠিত ফিকে মৃগতৃঞ্চিকার মতন জ্যোৎস্নায় এসে গোল হয়ে ঘুরে-ঘুরে প্রান্তরের পথে চাদকে নিখিল করে দিয়ে তবু পরিমেয় কলঙ্কে নিবিড় করে দিতে চেয়েছিল,—মনে মনে—মুখে নয়—দেহে নয় ; বাংলার মানসসাধনশীত শরীরের চেয়ে আরো বেশি জয়ী হয়ে শুক্ল রাতে গ্রামীন উৎসব o শেষ করে দিতে গিয়ে শরীরের কবলে তো তবুও ডুবেছে বার-বার অপরাধী ভরুিদের মতো প্রাণে । তারা সব মৃত আজ। তাহাদের সন্ততির সন্ততির অপরাধী ভীরুদের মতন জীবিত । 'ঢ়ের ছবি দেখা হল—টের দিন কেটে গেল—টের অভিজ্ঞতা জীবনে জড়িত হয়ে গেল, তবু, হাতে খননের অস্ত্র নেই—মনে হয়- চালিদিকে ঢিবি দেয়ালের নিরেট নিঃসক্ত অন্ধকার’—ব'লে যেন কেউ যেন কথা বলে। হয়তো সে বাংলার জাতীয় জীবন | সত্যের নিজের রূপ তবুও সবের চেয়ে নিকট জিনিস সকলের ; অধিগত হলে প্রাণ জানালার ফঁাক দিয়ে চোখের মতন অনিমেষ হয়ে থাকে নক্ষত্রের আকাশে তাকালে । আমাদের প্রবীণের আমাদের আচ্ছন্নতা দিয়ে গেছে ? আমাদের মনীষীরা আমাদের অধসত্য ব'লে গেছে অধমিথ্যার । জীবন তবুও অবিস্মরণীয় সততাকে চায় ; তবু ভয়-হয়তো বা চাওয়ার দীনতা ছাড়া আর কিছু নেই। ঢের ছবি দেখা হল—টের দিন কেটে গেল—ঢ়ের অভিজ্ঞতা জীবনে জড়িত হয়ে গেল, তবু, নক্ষত্রের রাতের মতন সফলতা মহিষের দূরবীনে রয়ে গেছে,—জ্যোতিগ্রন্থে ; জীবনের জন্তে আজো নেই। অনেক মানুষী খেল দেখা হল, বই পড়া সাঙ্গ হল—তবু