পাতা:বেলা অবেলা কালবেলা - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@心 > তারপর একটি নারীর মৃত্যু হয় : অতুভব ক’রে আমি অনুভব করেছি সময় সময়ের তীরে নিচে হতাহত সৈন্যদের ভিড় পেরিয়ে, - মাথার ওপর অগণন নক্ষত্রের আকাশের দিকে তাকিয়ে, কোনো দূর সমুদ্রের বাতাসের স্পর্শ মুখে রেখে, আমার শরীরের ভিতর অনাদি স্মৃষ্টির রক্তের গুঞ্জরণ শুনে, কোথায় শিবিরে গিয়ে পৌঁছলাম আমি । সেখানে মাতাল সেনানায়কের মদকে নারীর মতো ব্যবহার করছে, নারীকে জলের মতো ; তাদের হৃদয়ের থেকে উত্থিত স্মৃষ্টিবিসারা গানে নতুন সমুদ্রের পারে নক্ষত্রের নগ্নলোক স্বষ্টি হচ্ছে যেন ; কোথাও কোনো মানবিক নগর বন্দর মিনার খিলান নেই আর ; এক দিকে বালিপ্রলেপী মরুভূমি হু-হু করছে ; আর এক দিকে ঘাসের প্রান্তর ছড়িয়ে আছে-- আন্তঃনাক্ষত্রিক শৃষ্ঠের মতো অপার অন্ধকারে মাইলের পর মাইল । শুধু বাতাস উড়ে আসছে : স্থলিত নিহত ম্যুত্বের শেষ সীমানাকে সময়সেতুলোকে বিলীন ক'রে দেবার জন্তে, উদ্ভুিত শববাহকের মূর্তিতে। শুধু বাতাসের প্রেতচারণ অমৃতলোকের অপত্ৰিয়মান নক্ষত্রযান-আলোর সন্ধা । পাখি নেই,—সেই পাখির কঙ্কালের গুঞ্জরণ ; কোনো গাছ নেই,—সেই তৃতের পল্লবের ভিতর থেকে