পাতা:বেলা অবেলা কালবেলা - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ধ অন্ধকার তুষারপিচ্ছিল এক শোণ নদীর নির্দেশে। সেখানে তোমার সঙ্গে আমার দেখা হল, নারি, অবাক হলাম না । হতবাক হবার কী আছে ? তুমি যে মর্ত্যনারকী ধাতুর সংঘর্ষ থেকে জেগে উঠেছ নীল স্বৰ্গীয় শিখার মতো ; সকল সময় স্থান অনুভবলোক অধিকার ক'রে সে তো থাকবে এইখানেই, আজ আমাদের এই কঠিন পৃথিবীতে । কোথাও মিনারে তুমি নেই আজ আর জানালার সোনালি নীল কমলা সবুজ কাচের দিগন্তে । কোথাও বনচ্ছবির ভিতরে নেই ; শাদ সাধারণ নিঃসঙ্কোচ রৌদ্রের ভিতরে তুমি নেই আজ । অথবা ঝর্নার জলে মিশরী শঙ্খরেখাসর্পিল সাগরীয় সমুৎসুকতাষ তুমি আজ সূর্যজলস্ফুলিঙ্গের আত্মা-মুখরিত নও আর । তোমাকে আমেরিকার কংগ্রেস-ভবনে দেখতে চেয়েছিলাম, কিংবা ভারতের ; অথবা ক্রেমলিলে কি বেতসতন্ত্রী সূর্যশিখার কোনো স্থান আছে যার মানে পরিত্রতা শান্তি শক্তি শুভ্রতা—সকলের জন্তে ! নিঃসীম শূন্যে শূন্যের সংঘর্ষে স্বতরুৎসার নীলিমা মতো কোনে রাষ্ট্র কি নেই আজ আর কোনো নগরী নেই স্বষ্টির মরালীকে যা বহন করে চলেছে মধু বাতাসে নক্ষত্রে—লোক থেকে স্বর্যলোকান্তরে ! ডানে বঁায়ে ওপরে নিচে সময়ের