পাতা:বেলা অবেলা কালবেলা - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কয়েকটি মানুষের ভালো থাকা—সুখে থাকা–রিরংসারক্রিম হয়ে থাকা ; হয়তো-বা বিজ্ঞানের, অগ্রসর, অগ্রস্থতির মানে এই শুধু, এই ! চারিদিকে অন্ধকার বেড়ে গেছে—মাহুষের হৃদয় কঠিনতর হয়ে গেছে ; বিজ্ঞান নিজেও এসে শোকাবহ প্রতারণা ক’রেই ক্ষমতাশালী দেখ ; কবেকার সরলতা আজ এই বেশি শীত পৃথিবীতে—শীত ; বিশ্বাসের পরম সাগররোল ঢের দূরে সরে চলে গেছে ; প্রীতি প্রেম মনের আবহমান বহতার পথে যেই সব অভিজ্ঞতা বস্তুত শান্তির কল্যাণের সত্যিই আনন্দস্তুষ্টির সে-সব গভীর জ্ঞান উপেক্ষিত মৃত আজ, মৃত, জ্ঞানপাপ এখন গভীরতর ব'লে ; আমরা অজ্ঞান নই—প্রতিদিনই শিখি, জানি, নিঃশেষে প্রচার করি, তবু কেমন দুরপনেয় স্থলনের রক্তক্তের বিয়োগের পৃথিবী পেযেছি। তবু এই বিলম্বিত শতাব্দীর মুখে যখন জ্ঞানের চেয়ে জ্ঞানের প্রশ্রয় ঢের বেড়ে গিয়েছিল, যখন পৃথিবী পেয়ে মানুষ তবুও তার পৃথিবীকে হারিয়ে ফেলেছে, আকাশে নক্ষত্র সূর্য নীলিমার সফলতা আছে,— আছে, তবু মানুষের প্রাণে কোনো উজ্জ্বলতা নেই, শক্তি আছে, শান্তি নেই, প্রতিভা রয়েছে, তার ব্যবহার নেই, প্রেম নেই, রক্তাক্ততা অবিরল, তখন তো পৃথিবীতে আবার ঈশার পুনরুদয়ের দিন প্রার্থনা করার মতো বিশ্বাসের গভীরতা কোনো দিকে নেই ; তবুও উদয় হয়—ঈশা নয়—ঈশার মতন নয়—আজ এই নতুন দিনের আর-এক জনের মতো ;