পাতা:বেলা অবেলা কালবেলা - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԱԱ : মানুষ যা চেয়েছিল গোধূলির রং লেগে অশ্বথ বটের পাতা হতেছে নরম ; খয়েরী শালিখগুলো খেলছে বাতাবী গাছে—তাদের পেটের শাদ রোম সবুজ পাতার নীচে ঢাকা পড়ে একবার পলকেই বার হয়ে আসে, হলুদ পাতার কোলে কেঁপে কেঁপে মুছে যায় সন্ধ্যার বাতাসে। ও কার গোরুর গাড়ি রয়ে গেছে ঘাসে ঐ পাখা মেলে ফড়িঙের মতো । হরিণী রয়েছে ব'সে নিজের শিশুর পাশে বড় চোখ মেলে ; আঁক-বাকী শিং ছুয়ে তাদের মেরুন গোধূলির মেঘগুলো লেগে আছে ; সবুজ ঘাসের পরে ছবির মতন যেন স্থির ; দিঘির জলের মতো ঠাণ্ডা কালো নিশ্চিন্ত চোখ ; স্মৃষ্টির বঞ্চন ক্ষমা করবার মতন অশোক অনুভূতি জেগে ওঠে মনে ।” আঁধার নেপথ্য সব চারিদিকে— কুল থেকে অকুলের দিক নিরূপণে শক্তি নেই আজ আর পৃথিবীর— তবু এই স্নিগ্ধ রাত্রি নক্ষত্রে ঘাসে ; কোথাও প্রাস্তরে ঘরে অথবা বন্দরে নীলাকাশে ; মানুষ যা চেয়েছিল সেই মহাজিজ্ঞাসার শান্তি দিতে আসে।

  • * : আজকের রাতে

আজকে রাতে তোমায় আমার কাছে পেলে কথা বলা যেত ; চারিদিকে হিজল শিরীষ নক্ষত্র ঘাস হাওয়ার প্রান্তর কিন্তু যেই নিট নিয়মে ভাবনা আবেগ ভাব বিশুদ্ধ হয় বিষয় ও তার যুক্তির ভিতর – আমিও সেই ফলাফলের ভিতরে থেকে গিয়ে দেখেছি ভারত লণ্ডন রোম নিউইয়র্ক চীন আজকে রাতের ইতিহাস ও মৃত ম্যামথ সব