“কি হ’য়েছে, ডিক্?”
“জোকে ডেকে তোল।”
জো উঠিল! কেনেডি সকল কথা প্রকাশ করিলেন। জো বলিল, “ও কিছু নয়। সেই যে একবার বানর দেখেছিলাম, বোধ হয় তাই।”
কেনেডি গম্ভীর ভাবে বলিলেন,—“হ’তে পারে। কিন্তু সাবধান হওয়াই ভাল। আমি আর জো মই ব’য়ে নীচে নামি। গাছের উপর গেলেই বোঝা যাবে!”
ফার্গুসন্ কহিলেন, “আচ্ছা নাম। আমি গ্যাসটা ঠিক করে’ নি। নিতান্ত দরকার না হ’লে বন্দুক আওয়াজ করো না।”
উভয়ে বৃক্ষোপরি অবতরণ করিয়া একটা সুদৃঢ় শাখার উপর বসিলেন। কিছুক্ষণ পরই জো ধীরে ধীরে কহিল—
“শুনছেন?”
“হাঁ—শুন্ছি। কিসে যেন গাছটা আঁচড়াচ্ছে না?”
“শব্দটা নিকটে আসছে না? বোধ হয় বড় একটা সাপ!”
“সাপ! না―তা’ নয়। ওই শোন শব্দটা বেশী হচ্চে। বোধ হয় মানুষ!”
জো মনোযোগপূর্ব্বক শুনিয়া কহিল, “আমারও তাই সন্দেহ হচ্ছে। কে যেন গাছে উঠছে।”
“তুমি গাছের ওদিকটা দেখ—আমি এদিক্ দেখি।”
উভয়ে বন্দুক হস্তে নীরবে অপেক্ষা করিতে লাগিলেন।