কেনেডি এবং জো ক্ষিপ্র চরণে মই বহিয়া বেলুনে উঠিলেন। ফার্গুসন্ কহিলেন—
“ডিক্, শুনলে?”
“ফার্গুসন্ এ কি সত্য? যেন কোন ফরাসী ডাকছেন—রক্ষা করা—রক্ষা কর।”
“নিশ্চয়ই কোনো ফরাসী পাদরী। বোধ হয় কাফ্রিরা তাকে হত্যা করছে!”
কেনেডি রোষে জ্বলিয়া উঠিলেন। কহিলেন, “ফার্গুসন্ বল কি! যাতে তাঁ’র রক্ষা হয় তাই কর। আমরা তোমার আদেশের অপেক্ষায় আছি।”
“ওরা যেমন করে’ পালালো তা’ দেখে মনে হয়, কখনো বন্দুকের শব্দ শোনেনি। কিন্তু কি করি—দিন না হ’লে ত কোনো উপায় হয় না!”
“পাদরী যে বড় বেশী দূরে আছেন তা’ত বোধ হচ্ছে না। কারণ—”
ও কি! আবার সেই করুণ কণ্ঠের কাতর প্রার্থনা—“রক্ষা কর—-রক্ষা কর।” সে ধ্বনি আকাশে বাতাসে কম্পিত হইতে লাগিল। স্বর শুনিয়া মনে হইতে লাগিল তাঁহার দেহ যেন ক্রমেই অবসন্ন হইয়া আসিতেছে!
জো দন্তে দন্তে ঘর্ষণ করিয়া কহিল—“যদি এই রাত্রেই কাফ্রিরা তাঁকে হত্যা করে—”
ফার্গুসনের হস্ত সজোরে ধরিয়া কেনেডি কহিলেন—