ফার্গুসন্কে বাধা দিয়া জো কহিল, “আপনি কি কোন উপায়ে এই অন্ধকারটা দূর করতে পারেন না। তা’ হ’লে একবার দেখি—
ফার্গুসন্ কিছুক্ষণের জন্য নীরব রহিলেন। তিনি চিন্তামগ্ন হইলেন। কিছুক্ষণ পরে বন্ধুদিগের দিকে চাহিয়া কহিলেন—
“শোন বলি। আমাদের উপযুক্ত পরিমাণ ভার আছে। মনে কর পাদরীর ওজন আমাদেরই একজনের সমান হ’বে। কিছু কম হওয়ারই কথা, কারণ অনাহারে, যন্ত্রণায় তিনি নিশ্চয়ই শুকিয়ে উঠেছেন। যা হোক আমাদের সমান ওজন ভার ফেলে দিলেও আরো প্রায় ৩০ সের থাকবে। সেটাও যদি ফেলে দি, তা’ হ’লে সাঁ করে’ উপরে উঠতে পারবো।”
“তোমার মতলব কি?”
“শোন। যদি বেলুনটা বন্দীর কাছে নিয়ে যেতে পারি, আর তাঁর ওজনের সমান ভার ফেলে দিয়ে তাঁকে তুলে নি, তা’ হলেও বেলুন বাতাসে ভাসবে। বাকী ভারটাও তখন ফেলে দেওয়া চাই, নইলে কাফ্রিদের হাতে পড়তে হ’বে। সঙ্গে সঙ্গে গ্যাসে তাপ দিয়ে উপরে উঠতে হ’বে।”
“ঠিক উঠতে পারা যাবে—আর দেরি নয় ফার্গুসন্।”
“একটা অসুবিধা আছে, ডিক্। যখন আবার নামতে হ’বে, তখন খানিকটা গ্যাস ছেড়ে না দিলে আর নামা যাবে না। ৩০ সের ভারের মত গ্যাস ছাড়তেই হ’বে। জ্ঞান ত ভাই, গ্যাস তোমার বেলুনের প্রাণ! যাক অত ভাবলে আর চলবে না।”