“সে কি! আরো ফেলবেন? তবে আমাকেই ফেলে দিন!”
ফার্গুসন্ ও কেনেডি জোর কথা শুনিয়া হো হো করিয়া হাসিয়া উঠিলেন। জো আর কথা কহিল না। তাহার বুক ভাঙ্গিয়া যাইতেছিল। সে নির্ব্বাক্ হইয়া সেই ভারের উপর শুইয়া পড়িল!
বেলুন ধীরে ধীরে চলিতে লাগিল।
ষোড়শ পরিচ্ছেদ
মরুভূমে
পরদিন ফার্গুসন্ বলিলেন, “আমরা বড়ই ধীরে যাচ্ছি। দশ দিনে মাত্র অর্দ্ধেক পথ এসেছি। কিন্তু এখন যে ভাবে যাচ্ছি, বাকি পথটা যেতে যে কতদিন লাগবে তা’ কে জানে। জল যে ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে, সেইটাই বড় চিন্তার কথা।”
কেনেডি কহিলেন, “জলের ভাবনা কি। পথে যেতে এতদিন যেমন পেয়েছি, এখনো তেমনি পাব।”
কেনেডির আশ্বাস-বাণীতে ফার্গুসনের চিন্তা দূর হইল না। তিনি দূরবীক্ষণ লইয়া সম্মুখে বিস্তৃত সেই জলহীন প্রদেশের অবস্থা নিরীক্ষণ করিতেছিলেন। দেখিলেন, কোথাও নিম্ন ভূমির চিহ্ন পর্য্যন্ত নাই, বরং তাঁহার মনে হইতে লাগিল, দূরে মরুভূমি থাকিবারই কথা। নিকটে বা দূরে তিনি কোথাও গ্রামের চিহ্ন