প্রভাতে বেলুন ছাড়া হইল । ভিক্টোরিয়া অতি ধীরে অগ্রসর হইল। ক্রমেই সূর্য্যের উত্তাপ প্রখর হইতে প্রখরতর হইতে লাগিল। ফার্গুসন্ ইচ্ছা করিলে আরও উর্দ্ধে উঠিয়া শীতল স্থানে যাইতে পারিতেন, কিন্তু অনেকটা জল গ্যাস করিতে হইবে দেখিয়া সে সঙ্কল্প ত্যাগ করিলেন। দ্বিপ্রহরে দেখা গেল, ভিক্টোরিয়া মাত্র দ্বাদশ মাইল পথ আসিয়াছে। তিনি কহিলেন—
“আমরা আর এর চেয়ে বেগে যেতে পারছি না। আগে বেলুন আমাদের দাস ছিল, এখন আমরাই বেলুনের দাস হ’য়ে পড়েছি!”
কপালের ঘাম মুছিয়া জো কহিল, “উঃ কি গরম—”
“এখন যদি আমাদের জল থাকতো, তা’ হ’লে সূর্য্যের উত্তাপেই হাইড্রোজেন গ্যাস বিস্তার লাভ করতো—কলে তাপ দিতেই হ’তো না। সে দিন পাদরীকে বাঁচাতে এক মণ দশ সের জল ফেলে দিতে হয়েছে! থাকলে এখন কত উপকার হতো।”
“জলটা যে গেছে সে জন্য কি তোমার অনুতাপ হচ্ছে, ফার্গুসন্?”
“অনুতাপ! না ডিক্, তা’ নয়। জল ফেলে দিয়ে যে আমরা পাদরীকে নিষ্ঠুর রাক্ষসদের হাত থেকে বাঁচাতে পেরেছিলেম, সেই জন্যই আনন্দ হচ্ছে।”
ক্রমে ভূমি নিম্ন হইতে নিম্নতর বলিয়া প্রতীয়মান হইতে লাগিল। স্বর্ণপর্ব্বতরাশির পাদমূল ক্রমেই সরিয়া গেল এবং