“হাঁ হাঁ ঠিক—জোর কথা ঠিক। ফার্গুসন্, দেখ—দেখ।”
“এতক্ষণে তবে মেঘ দেখা দিয়েছে। একটু বৃষ্টি আর বাতাস—ব্যস্।”
“দেখা যাক।”
“আজ বুঝি শুক্রবার?”
“কেন জো? তাতে কি?”
“আমি শুক্রবারকে বড় ভয় করি। ওটা বড় অলক্ষণে বার।”
“আজ তোমার সে ভুল ভাঙ্গবে, জো।”
“হোক হোক—তাই হোক। এ গরম আর সহ্য হয় না।”
ফার্গুসন্কে সম্বোধন করিয়া কেনেডি বলিলেন—
“এত গরমে বেলুনের ত কিছু খারাপ হ’বে না?”
“না, সে ভয় নাই। রেশমের উপর গাটাপার্চা দেওয়া আছে। খুব বেশী উত্তাপেও কিছু হবে না।”
জো আনন্দে করতালি দিয়। কহিল—“ওই যে মেঘ—ওই যে মেঘ—আর ভয় নাই।”
দুই বন্ধু চাহিয়া দেখিলেন, সত্যই বহুদূরে আকাশের প্রান্তদেশে একখণ্ড মেঘ দেখা যাইতেছে। উহা ধীরে ধীরে উপরে উঠিতেছিল। ফার্গুসন্ মেঘের দিকে চাহিয়া রহিলেন। বেলা ১১টার সময় উহা সূর্য্যকে ঢাকিয়া ফেলিল; কিন্তু পরক্ষণেই দেখা গেল, মেঘের প্রান্তভাগ দিগ্বলয় ছাড়াইয়া উঠিয়াছে। ফার্গুসন্ গম্ভীরভাবে বলিলেন——