“ও মেঘের উপর কোনো আস্থা স্থাপন করা যায় না। সকালেও যেমন ছিল, এখনো তেমনিই আছে।”
“তোমার কথাই ঠিক, ফার্গুসন্। আমাদের অদৃষ্টে বাতাসও নাই, বৃষ্টিও নাই।”
“আমারও ত তাই বোধ হচ্ছে। মেঘখানা যত উপরে উঠছে—”
বাধা দিয়া কেনেডি বলিলেন—
“আচ্ছা, মেঘ যদি কাছে না আসে, আমরা ত মেঘের কাছে যেতে পারি।”
“তা’তে বড় বেশী ফল হ’বে না। কেবল খানিকটা গ্যাস নষ্ট হ’বে। কিন্তু আমরা যেমন সঙ্কটে পড়েছি, তা’তে আর চুপ করে’ থাকা যায় না। চল উঠি।”
বেলুন উর্দ্ধে উঠিতে লাগিল। ভূমিতল হইতে ১৫০০ ফিট ঊর্দ্ধে উঠিয়া ভিক্টোরিয়া সেই মেঘের ভিতরে প্রবেশ করিল। সেখানেও বাতাস ছিল না। সে মেঘেও বারি ছিল না। ফার্গুসন্ চিন্তান্বিত হইলেন।
অকস্মাৎ জো চীৎকার করিয়া বলিয়া উঠিল—
“দেখুন—দেখুন—আমরাই যে শুধু এ দেশে এসেছি তা’ নয়। ওই দেখুন, আর একটা বেলুনেও মানুষ আছে।”
কেনেডি বলিলেন—“জো পাগল হ’ল না কি?”
জো আকাশের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া কহিল—“ওই দেখুন—”