কেনেডিও জোর ন্যায় বিস্মিত হইয়া কহিলেন——“ফার্গুসন্, সত্যই ত—দেখ দেখ—”
ফার্গুসন্ ধীরভাবে বলিলেন, “বুঝেছি। ওটা মায়া।”
“মায়া! বল কি! ওই দেখ না, বেলুনে কয়েকজন যাত্রীও আছে। আমরাও যে দিকে যাচ্ছি ও বেলুনটাও সেই দিকেই যাচ্ছে।”
ফার্গুসন্ বলিলেন—“ওদের নিশান দেখাও।”
কেনেডি যখন পতাকা হস্তে সঙ্কেত করিলেন, তখন সে বেলুনের যাত্রীরাও পতাকা নাড়িল।
ফার্গুসন্ বলিলেন, “কেমন ডিক্, এখন বিশ্বাস হয় যে ওটা মায়া। ও বেলুন তোমাদেরই ছায়া মাত্র।”
জো বলিল, “এ কথা বিশ্বাস হয় না। আকাশের গায়ে বেলুনের ছবি। আকাশ ত আর দর্পণ নয়।”
“আচ্ছা, তুমি হাত নেড়ে সঙ্কেত কর।”
জো তাহাই করিল।
“কি দেখলে?”
“ও বেলুন থেকেও ঠিক আমারই মত হাত নাড়ছে। ওটা মায়াই বটে।”
“তোমার চোখের ভুল মাত্র। মরুভূমিতে অমন হয়। বাতাস লঘু হ’লেই অমন দেখা যায়।”
মরুভূমির মায়া-ছবি মুহূর্ত্তে অন্তর্হিত হইল। মেঘখণ্ড দেখিতে দেখিতে আরো উপরে উঠিয়া গেল। যতটুকু বাতাস