পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষোড়শ পরিচ্ছেদ
১২৫

ছিল, সেই সঙ্গে তাহাও গেল। ফার্গুসন্ অনন্যোপায় হইয়া নিম্নে নামিলেন।

 বেলুন অতি ধীরে অগ্রসর হইতেছিল। অপরাহ্ণে জো কহিল—“দূরে দু’টো তাল গাছ দেখা যাচ্ছে।”

 “যদি সত্যই গাছ হয়, তা’ হ’লে ওখানে নিশ্চয়ই জল আছে।” ফার্গুসন্ দূরবীক্ষণ দ্বারা দেখিলেন যে, সত্যই তাল বৃক্ষ দেখা যাইতেছে। তিনি হৃষ্টচিত্তে বলিলেন—“পেয়েছি—জল পেয়েছি। আর ভাবনা নাই।”

 জো তখন বলিল, “তবে একটু জল খেতে দিন। বড়ই গরম বোধ হচ্ছে। পিপাসায় কণ্ঠ শুকিয়েছে।”

 নিকটেই জল পাওয়া যাইবে দেখিয়া, ফার্গুসন্ জোকে জল পান করিতে দিলেন।

 ছয়টা বাজিল। ভিক্টোরিয়া তখন সেই পূর্বদৃষ্ট তাল বৃক্ষের সন্নিকটে আসিল। সে ত বৃক্ষ নয়—বৃক্ষের প্রেতছায়া! শুষ্ক শীর্ণ পত্র-বিরহিত! আসন্ন মৃত্যুর হস্ত হইতে যেন কোন প্রকারে আত্মরক্ষা করিতেছে। ফার্গুসন্ ভীত চিত্তে বৃক্ষের দিকে চাহিলেন। বৃক্ষনিম্নে একটা কূপের রৌদ্রদগ্ধ প্রস্তরখণ্ডগুলি পতিত ছিল। সেখানে জলের চিহ্নমাত্রও ছিল না। ফার্গুসন্ বন্ধুদিগকে সেই নিদারুণ সংবাদ শুনাইতে যাইতেছিলেন, কিন্তু তাঁহাদিগের চীৎকারে বিস্মিত হইয়া চাহিয়া দেখিলেন, যতদূর চক্ষু চলে মৃত মনুষ্যের কঙ্কাল সেই উত্তপ্ত অগ্নিতুল্য বালুরাশির উপর পতিত আছে। শুষ্ক কূপে চতুরদ্দিকে