রাখতে যেয়ে খানিকটা জল কেন নষ্ট করলেম। জলটা গ্যাস না করে’ খাবার জন্য রাখলেই কি ভাল হ’তো না। মোটেই ত সর্ব্বশুদ্ধ ৬০ মাইল পথ এসেছি। যদি না আসতেম, তা’ হ’লেই বা কি হ’তো। সেখানেও জল ছিল না—এস্থানেও নাই। যদি বাতাস আসে, সেখানেও যেমন বয়ে’ যাবে, এখানেও ঠিক তেমনি যাবে। তবে কেন এলেম, কেন জল নষ্ট করলেম। আর এক সের জল থাকলে অন্ততঃ ৮।৯ দিন মরতে হ’তো না। ন’ দিনে কত কি ঘটতে পারে। পৃথিবী ওলোট-পালট হয়ে যেতে পারে। বেলুন নিয়ে উপরে উঠতেও জল লেগেছে। তখন ভার ফেলে দিয়েও ত উঠতে পারতেম। হায়, কেনই বা তা’ করলেম না! না হয় বেলুনের গ্যাস ছেড়ে দিয়ে নীচে নামা যেত।
তা’ কি যেত? না—কখনো যেত না। গ্যাসই যে বেলুনের প্রাণ। সে প্রাণই যদি না থাকলো তবে আর বেলুন থেকে লাভ কি!
ফার্গুসন্ এইরূপে চিন্তা করিতে লাগিলেন। কোন্ দিক্ দিয়া যে সময় কাটিয়া গেল, তাহা বুঝিতেই পারিলেন না।
শেষে মনে মনে কহিলেন, ‘একবার শেষ চেষ্টা করে’ দেখতে হ’বে। আর একবার উপরে উঠে চেষ্টা করে’ দেখি, যদি বায়ুপ্রবাহ পাই। তার জন্য যথাসর্ব্বস্ব পণ করতে হ’বে!’
জো এবং কেনেডি তখন ঝিমাইতেছিলেন। ফার্গুসন্ তাঁহাদিগকে কিছু জিজ্ঞাসা করিলেন না। ডাকিলেনও না।