রাত্রি আসিল। ফার্গুসন ভাবিলেন দ্রুতপদে ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিলে হয় ত কষ্টের অনেকটা লাঘব হইবে। তিনি সঙ্গীদিগকে ডাকিলেন।
কেনেডি বলিলেন,
“আমি এক পা-ও চলতে পারি না।”
জো কহিল, “আমার ঘুম পাচ্ছে।”
ফার্গুসন্ পুনরায় কহিলেন, “এ অবসাদ দূর করতেই হ’বে। ঘুমিয়ে পড়লে বড় খারাপ হ’বে। এস বেড়াই।”
তাঁহারা ভ্রমণ করিতে চাহিলেন না। ফার্গুসন্ একাকী যাত্রা করিলেন। ঊর্দ্ধে নক্ষত্রখচিত আকাশ, নিম্নে সুদূরবিস্তৃত মরুভূমি। পশু নাই—পক্ষী নাই—জন-প্রাণীর সাড়া শব্দ নাই! চতুর্দ্দিকে ভীষণ নীরবতা। ফার্গুসন একাকী যাত্রা করিলেন। প্রথমে হাটিতে পারিলেন না—চরণ চলিতে চাহিল না। কিছুক্ষণ পাদচারণ করিতে করিতেই লুপ্তশক্তি যেন অল্পে অল্পে ফিরিয়া আসিতে লাগিল। তিনি বহুদূর পর্য্যন্ত গমন করিলেন। কতদূর গেলেন, তাহা বুঝিতে পারিলেন না। চলিতে চলিতে অকস্মাৎ মস্তক ঘুরিয়া উঠিল—চক্ষু অন্ধকার হইল—শরীর অবসন্ন হইয়া গেল। চরণদ্বয় কম্পিত হইতে লাগিল। সেই ভীষণ নীরবতা যেন তাঁহাকে একান্ত ভীত করিয়া তুলিল। পশ্চাতে ফিরিয়া দেখিলেন ভিক্টোরিয়ার আর চিহ্ন পর্যন্ত দেখা যাইতেছে না। ফার্গুসন্ প্রত্যাবর্তন করিবার চেষ্টা করিলেন, পারিলেন না। বন্ধুদিগকে উচ্চকণ্ঠে ডাকিলেন। কাহারো