পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩২
বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ

উত্তর পাইলেন না। প্রতিধ্বনি পর্য্যন্ত হইল না। ফার্গুসন্ তখন সেই তপ্ত বালুকারাশির মধ্যে মুর্চ্ছিত হইয়া পড়িলেন।

 তাঁহার যখন মূর্চ্ছা ভঙ্গ হইল, তখন রজনী দ্বিতীয় প্রহর। ফার্গুসন্ চক্ষু চাহিয়া দেখিলেন, তিনি ভূশয্যায় পতিত রহিয়াছেন। জো ব্যাকুল দৃষ্টিতে তাঁহার দিকে চাহিয়া আছে।

 জো কহিল, “আপনার কি হয়েছে?”

 “কিছু নয় জো। অকস্মাৎ বলশূন্য হয়েছিলাম।”

 “আমার কাঁধের উপর ভর করে’ চলুন। ভিক্টোরিয়ায় ফিরে যাই।”

 ফার্গুসন্ তাহাই করিলেন।

 যাইতে যাইতে জো কহিল—“এমন করে কি একাকী আসতে আছে। এ ভাবে আর ক’দিন কাটবে? যদি বাতাস না উঠে, তবে ত আমরা তিন জনে একত্রে মারা যাব।”

 ফার্গুসন নীরব রহিলেন। জো কহিল—

 “আপনাদের মঙ্গলের জন্য আমি জীবন পণ করেছি। দু’জনের জন্য এক জনের আত্ম-বিসর্জ্জন করাই উচিত। আমি তাই করবো।”

 “তাতে কি হ’বে জো? প্রাণ দিলে কি বাতাস এনে দিতে পরবে?”

 “কিছু খাবার নিয়ে আমি পদব্রজে যাত্রা করতে চাই। হয় ত কোথাও একটা আশ্রয় খুঁজে পেতে পারি। কোন একটা