গ্রাম পেলে মনের কথা গ্রামবাসীদের এক রকম করে’ বুঝিয়ে দিতেই পারবো। আমি সেখান থেকে আপনাদের জন্য জল আনবো। যদি এর মধ্যে বাতাস উঠে, আমার জন্য আপনারা তাপেক্ষা করবেন না।”
“এ অসম্ভব, জো। তুমি আমাদের ছেড়ে যেও না।”
“একটা ত উপায় করতে হবে। আমি গেলে ক্ষতি কি?”
“না জো, তা’ হ’বে না। এ বিপদের সময় আমরা এক, সঙ্গেই থাকবো। যদি মরতে হয়, একত্রেই মরবো। ধৈর্য্য ধরে’ অপেক্ষা করা ভিন্ন আর উপায় কি?”
“বেশ—আমি আর একদিনমাত্র দেখবো। যদি মঙ্গলবারেও বাতাস না উঠে আমি পদব্রজে যাত্রা করবো। কোন বাধাই মানবো না।”
কথা কহিতে কহিতে উভয়ে বেলুনের নিকটে আসিলেন। রাত্রি একরূপে কাটিয়া গেল।
প্রভাত হইতেই ফার্গুসন্ বায়ুমান-যন্ত্র পরীক্ষা করিতে লাগিলেন। কোনো পরিবর্ত্তন লক্ষিত হইল না। তিনি তখন নিম্নে অবতরণ করিয়া ভাল করিয়া আকাশের অবস্থা পর্য্যবেক্ষণ করিতে লাগিলেন। দেখিলেন, সূর্য্য তেমনি প্রখর —বালুকারাশি তেমনি তপ্ত—আকাশ তেমনি পরিচ্ছন্ন। তিনি আপন মনে বলিলেন, “তবে কি আমাদের শেষ সময়, সত্যই এসেছে!”
জো কোন কথা কহিল না। নীরবে বসিয়া তাহার যাত্রার