হইতে ঝম্প দান করিল এবং পরক্ষণেই রৌদ্রতপ্ত বালুরাশি কর্তৃক দগ্ধ হইয়া যন্ত্রণায় ছটফট করিতে করিতে বেলুনমধ্যে পলায়ন করিল। আবার সেই ভ্রম—আবার জো সলিল বলিয়া বালুকার মধ্যে মুখ গুঁজিল! পরক্ষণেই বিরক্ত হইয়া কহিল— “এ জল কে খাবে——বড় লোণা।”
ফার্গুসন্ এবং কেনেডি তখন মৃতবৎ পড়িয়াছিলেন। জো আর পারিল না। কোনক্রমে জানুতে ভর করিয়া নিজের শক্তিহীন দেহকে টানিয়া লইয়া বেলুনে উঠিল এবং ক্ষিপ্র হস্তে জলের বোতলটী লইয়া পান করিতে আরম্ভ করিল। কেনেডি ইহা দেখিতে পাইয়াছিলেন। তিনিও কোন প্রকারে জোর নকটে উপস্থিত হইয়া ভীষণ কণ্ঠে কহিলেন—
“দাও—দাও—আমাকে দাও।”
জো তখন বিশ্ব-সংসার বিস্মৃত হইয়া জলপান করিতেছিল। কেনেডি পুনরায় কহিলেন—
“জো, তোমার চরণে ধরি—মিনতি—করি—একটু দাও। বেশী নয় এতটুকু জল। দাও জো দাও—প্রাণ যায়—রক্ষা কর—”
জো কাঁদিতে কাঁদিতে জলের বোতলটী—তাহার শেষ আশা, শেষ সম্বল কেনেডির হস্তে অর্পণ করিল।