পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ

 কেনেডি কুপিত কণ্ঠে কহিলেন “বেশ হয়েছে! বেশ হয়েছে! আমাদের যম আস‍্ছে!”

 ফার্গুসন্ ক্ষিপ্রহস্তে বেলুনের ভার ফেলিতে ফেলিতে বলিলেন—“যম নয় ডিক্—যম নয়! আমাদের পরম বন্ধু! আমাদের রক্ষার জন্যই বুঝি আজ মরুঝটিকা উঠেছে। এস—সত্বর হও। ভার ফেল।”

 ফার্গুসন্ কহিলেন—“জো পঁচিশ সের।”

 জো এবার বিনা বাক্যব্যয়ে পঁচিশ সের সোণার ভার নিক্ষেপ করিল! দেখিতে দেখিতে সেই প্রবল বালুকা-তরঙ্গ নিকটে আসিল—দেখিতে দেখিতে বাতাহত বেলুন কাঁপিয়া উঠিল, দুলিল এবং পরক্ষেণেই বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে উল্কার ন্যায় ছুটিতে লাগিল।

 “জো—ফেল—ফেল—আরও ভার ফেল।”

 ফার্গুসনের আদেশ মাত্র জো অনেকটা ভার ফেলিয়া দিল। বেলুন মুহূর্ত্তে সেই উত্তপ্ত বায়ুস্তরের উপরে উঠিল এবং বাত্যাতাড়িত বালুকার উপর দিয়া নক্ষত্রবেগে চলিতে লাগিল!

 ফার্গুসন্, কেনেডি এবং জো নির্ব্বাক্ হইয়া বিস্ময়-বিস্ফারিত নেত্রে পরস্পরের মুখের দিকে চাহিতে লাগিলেন। আশায় ও উৎসাহে তিন জনেরই বদনমণ্ডল উজ্জ্বল হইয়া উঠিল।

 বেলা ৩টার সময় ঝড় থামিল। আকাশ শান্ত মূর্ত্তি ধারণ করিল। ভিক্টোরিয়া তখন অচল হইয়া একটী উর্ব্বর ক্ষেত্রের শত হস্ত উপরে ভাসিতেছিল। তাঁহারা দেখিলেন বায়ুতাড়িত