পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ
১৩৯

বালুকারাশি নানাস্থানে পুঞ্জীভূত হইয়া বেলুনের দক্ষিণে, বামে ও সম্মুখে শত সহস্র ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পর্ব্বতের সৃষ্টি করিয়াছে। অদূরে পত্রে পুষ্পে শোভিত বৃক্ষাদি পরিপূর্ণ উর্বর ক্ষেত্রগুলি সমুদ্র মধ্যে দ্বীপবৎ দেখা যাইতেছে।

 ফার্গুসন্ কহিলেন—“নিশ্চয়ই এখানে জল আছে।”

 তিনি খানিকটা গ্যাস ছাড়িয়া দিয়া বেলুনকে নামাইলেন। কেনেডি এবং জো মূহূর্ত্তে লম্ফ দিয়া নিম্নে অবতরণ করিলেন। ফার্গুসন্ কহিলেন—“মরু-ঝটিকার কি দারুণ বেগ! আমরা ৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৪০ মাইল পথ এসেছি!”

 কেনেডি এবং জো জলের সন্ধানে যাইতেছিলেন দেখিয়া ফার্গুসন কহিলেন—“বন্দুক নিয়ে যাও! খুব সাবধানে যেও, ডিক্। চারিদিকে চোখ রেখো।”

 তাঁহারা উভয়ে ঊর্দ্ধশ্বাসে দৌড়িলেন। জল— জল—একবিন্দু জল। সম্মুখে বৃক্ষ-লতা-পরিবেষ্টিত স্থান দেখিয়াই তাঁহারা বুঝিয়াছিলেন, এখানে জল আছে। পিপাসায় কণ্ঠনালী পর্য্যন্ত তখন শুষ্ক, জিহ্বায় ক্ষত হইয়াছে—শরীর জ্বলিয়া যাইতেছে। তখন কি আর ধীর বিবেচনার সময় থাকে। কেনেডি এবং জো প্রাণপণে দৌড়াইলেন! যদি তাঁহারা ধীরে যাইতেন, তাহা হইলে দেখিতেন যে, সেই সিক্ত ভূমির উপর বৃহৎ বৃহৎ পদচিহ্ন বর্তমান রহিয়াছে।!

 ও কিসের গর্জ্জন? তাঁহারা থমকিয়া দাঁড়াইলেন। সে

১০