পাতা:বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ - রাজেন্দ্রলাল আচার্য (১৯২৫).pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ঊনবিংশ পরিচ্ছেদ

অজ্ঞাত জনপদ

 রজনী নির্ব্বেঘ্নে অতিবাহিত হইল। প্রভাতেই মরুসূর্য্য প্রখর কিরণজাল বিস্তার করিয়া উদিত হইল। ফার্গুসন্ সুবাতাসের অপেক্ষায় রহিলেন। সমস্ত দিবস কাটিয়া গেল। দুর্ব্বল শরীর ধীরে ধীরে সুস্থ ও সবল হইয়া উঠিল। লুপ্ত-শক্তি ফিরিয়া আসিল। শক্তির সঙ্গে সঙ্গে ভরসা এবং ভরসার সঙ্গে সাহস আসিয়া দেখা দিল। মানুষ অল্পেই অতীতের কথা বিস্মৃত হয়। ক্রমে সন্ধ্যা হইল। উজ্জ্বল নক্ষত্রখচিত আকাশের দিকে চাহিয়া চাহিয়া পর্যটকত্রয় কত কি চিন্তা করিতে লাগিলেন।

 পরদিন প্রভাতেও আকাশের কোনো পরিবর্ত্তন লক্ষিত হইল না। বাতাস অতি ধীরে বহিতেছিল। ফার্গুসন্ ক্রমেই চঞ্চল হইতে লাগিলেন। ভাবিলেন, জলের অভাবে মরিতে বসিয়াছিলাম। জল যদি পাইলাম, তবে কি খাদ্যের অভাবে মরুপ্রান্তরে প্রাণ যাইবে!

 মধ্যাহ্নে ফার্গুসন্ যাত্রার আয়োজন করিলেন। আবশ্যক মত জল তুলিয়া লওয়া হইল। খানিকটা ভার ফেলিয়া দিয়া বেলুনকে আরো হাল্‌কা করা হইল। এবার সোণার ভার